২০১৭ সালে সৌদি আরবের শ্রমশক্তিতে নারীদের অংশগ্রহণ ছিল ১৭ শতাংশ।
৮ বছর পর ২০২৫ সালে এসে এই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৬ শতাংশে। অর্থাৎ, আগের তুলনায় নারীদের কাজে বেরুনোর সংখ্যা দ্বিগুণের বেশি বেড়েছে।
দ্রুত সময়ে দৃশ্যপট পাল্টে যাওয়ার জন্য দেশটির নীতি-নির্ধারকদের ‘ইচ্ছাকেই’ কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
সৌদি নাগরিকরা বলছেন, বর্তমানে দেশটির সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি আগের ‘ধর্মীয় ধারণা’ থেকে অনেকটাই ভিন্ন।
সৌদি আরব এখন ভিশন ২০৩০ এর লক্ষ্য বাস্তবায়নে কাজ করছে, যেখানে নারীর অগ্রযাত্রাকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
গত অর্ধযুগে নারীর চলাচলের উপর থাকা বেশ কিছু বিধিনিষেধ তুলে নিয়েছে দেশটি।
জেদ্দার বাসিন্দা আহমেদ হোসাইন বলছেন, সৌদি সমাজে নারীরা এখন আগের তুলনায় অনেক দৃশ্যমান।
“এখন তারা অনেকটাই স্বাধীন। পুরুষ অভিভাবক ছাড়াই তারা বিভিন্ন পাবলিক স্পেসে যেতে পারছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, চাকরি, বিনোদন- এসবের জন্য নারীকে এখন আর পুরুষদের অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে না।”
নারীর ক্ষমতায়নে সৌদি সরকার যা করছে
সৌদি সরকার বলছে, নারীরা যাতে পিছিয়ে না পরে, সেজন্য বিধিবিধানে নানা ধরণের পরিবর্তন আনা হচ্ছে।
দেশটির মানবসম্পদ ও সামাজিক উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের নারী সক্ষমতা বিষয়ক মহাপরিচালক ড. হানাদি আল-হোকাইর জানান, সৌদি সরকার শ্রমবাজারে নারীদের সম্পৃক্ততা বাড়াতে কার্যকর কৌশল গ্রহণ করছে।
“সৌদি আরবের নারীদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে আমরা নীতিগত সংস্কার আনছি এবং এর ফলে চমৎকার অগ্রগতি আসছে।”
তিনি বলছেন, ভিশন ২০৩০ এর সাথে সামঞ্জস্য রেখে নারীর ক্ষমতায়ন এবং সকল ক্ষেত্রে তাদের ভূমিকা উন্নত করার জন্য সৌদি আরব প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
নারীর অর্থনৈতিক অংশগ্রহণ বৃদ্ধির উপর জোর দিয়ে ড. হানাদি বলেন, “নারীর কর্মসংস্থানের জন্য শিশু যত্ন নীতি, ডিজিটাল অর্থনীতিতে নারীদের একীভূত করা এবং সবুজ অর্থনীতির মতো ক্ষেত্রগুলিতে নারীদের প্রবেশকে সহজ করে- এমন সংস্কারগুলো আমরা এনেছি।”