বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারাদণ্ডকে ‘বিচারিক সন্ত্রাস’ হিসেবে দেখছে তার দল আওয়ামী লীগ।
দেশটির আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল বুধবার শেখ হাসিনাকে ৬ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে।
এর প্রতিক্রিয়ায় রাতে গণমাধ্যমে বিবৃতি পাঠিয়ে বিচার প্রক্রিয়াকে ‘অবৈধ ও বেআইনি’ বলে অভিযোগ তুলেছে আওয়ামী লীগ।
গেল বছরের ৫ আগস্ট ক্ষমতা হারানোর পর শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে একের পর এক হত্যা মামলা হতে থাকে।
এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ফোনালাপ ছড়িয়ে পড়ে, যেটি শেখ হাসিনার বলে দাবি করা হয়।
সেই ফোনালাপে ২২৭টি মামলার বিপরীতে ২২৭ জনকে ‘হত্যার লাইসেন্স’ পাওয়ার কথাও বলতে শোনা যায়।
এর জের ধরে গত ৩০ এপ্রিল শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ আনা হয়।
আদালত অবমাননার এই মামলায় ক্ষমতা ছাড়ার প্রায় ১১ মাসের মাথায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে প্রথম রায় এলো।
যা বলছে আওয়ামী লীগ
আওয়ামী লীগ এই মামলাকে ‘মিথ্যা ও প্রহসনমূলক’ বলে দাবি করেছে।
দলটি বলছে, এই মামলায় ‘আইন ও ন্যায় বিচারের সকল রীতিনীতি ও নজির লঙ্ঘন’ করে ‘একতরফাভাবে’ শেখ হাসিনাকে কারাদন্ড দেয়া হয়েছে।
“বাংলাদেশের ইতিহাসে আদালত অঙ্গনে এ ধরনের জঘন্য ঘটনা আর ঘটে নি”, বলা হয় বিবৃতিতে।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশটিতে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা সবসময়ই প্রশ্নের মুখে পড়েছে।
বিশেষ করে বিরোধী দলগুলো বরাবরই আদালতে ন্যায়বিচার পাওয়া নিয়ে অভিযোগ করে এসেছে।
আওয়ামী লীগ বলছে, অন্তর্বর্তী সরকার দেশে ‘আইনের শাসন ও ন্যায় বিচার ভূলন্তিত করেছে’।
“দেশে বিচারের নামে যে প্রহসন ও বিচারিক সন্ত্রাস চলছে, এই ঘটনা সেটিই প্রমাণ করে। এই ঘটনা পুরনো ক্যাঙ্গারু কোর্ট মডেলকেও হার মানিয়েছে।”
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনার বিষয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, “ট্রাইব্যুনাল কোন ধরনের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে একতরফাভাবে এই অভিযোগ গ্রহণ করে।
“তার নিযুক্ত কোন আইনজীবীর বক্তব্য তারা শুনেনি।”
ট্রাইব্যুনাল আইনের যে বিধানের উল্লেখ করে এই দণ্ড দেয়া হয়েছে, শেখ হাসিনা ‘কোনভাবেই এই বিধান লংঘন করেননি’- দাবি করা হয়েছে বিবৃতিতে।