রাবির হলে প্রাধ্যক্ষরা ছাত্রী সংস্থা করতে চাপ দেন, অভিযোগ আমানের

রাবি প্রতিনিধি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়েদের হলে প্রাধ্যক্ষরা ইসলামী ছাত্রী সংস্থার রাজনীতি করার জন্য শিক্ষার্থীদের ওপর চাপ প্রয়োগ করেন, এমন অভিযোগ তুলেছেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আমানউল্লাহ আমান।

বৃহস্পতিবার বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ তুলেন।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার রাত ১১টার পরে হলে ফেরায় জুলাই ৩৬ হলের ৯১ ছাত্রীকে প্রাধ্যক্ষের অফিসে তলব করে নোটিশ দেয় হল কর্তৃপক্ষ।

ফেসবুকে এ-সংক্রান্ত একটি ফটোকার্ডে শাহ মখদুম হল ছাত্রদলের সহ-সভাপতি আনিসুর রহমানের আইডি থেকে ছাত্রীদের ‘এগুলো ছাত্রী নয়, এগুলো বিনা পারিশ্রমিক যৌনকর্মী’ বলে মন্তব্য করা হয়।

তারই প্রতিবাদে অভিযুক্ত সেই নেতার সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে ছাত্রদল।

সংবাদ সম্মেলনে আমানউল্লাহ আমান বলেন, “এ ঘটনায় জড়িত ছাত্রদল নেতার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা হলে তার কাছে আমরা কোনো সদুত্তর পাইনি। তাই আমরা মনে করছি, এ ঘটনার সাথে সে সরাসরি জড়িত। ফলে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল তার প্রাথমিক পদ বাতিলসহ তাকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করেছে।

“একইসাথে তার বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল মামলাও করেছে। তাকে দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য প্রশাসনকে স্মারকলিপি প্রদান করেছি। আমরা চাইনা আমাদের বোনরা সাইবার বুলিংয়ের শিকার হোক এবং তা নিয়ে কেউ অপরাজনীতি করুক।”

তিনি আরও বলেন, “রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বামদের মধ্যেও শিবির ঢুকে পড়েছে। সে অন্যান্য সংগঠনে পদ নিবে, কিন্তু আসলে সে শিবিরের নেতা।”

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘বট’ আইডি সম্পর্কে আমানউল্লাহ আমান বলেন, “বাংলাদেশে যত জনসংখ্যা আছে, তার চেয়েও শিবিরের বট আইডির সংখ্যা বেশি।”

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সভাপতি সুলতান আহমেদ রাহী, সাধারণ সম্পাদক সর্দার জহুরুলসহ ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।