ইসরায়েলি সেনারা ইরানের ভেতরে বসেই হামলা চালিয়েছিল?

ইরান ইসরায়েল যুদ্ধে মৃত্যু

ইরানে নির্ভুল নিশানায় হামলা চালিয়ে বিশ্বকে চমকে দিয়েছে ইসরায়েল।

১৩ জুন তেল আবিবের হামলায় তেহরানের বেশ কয়েকজন সামরিক নেতা ও পরমাণু বিজ্ঞানী হত্যার শিকার হয়েছেন।

হামলার সময় ইরানের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও অকার্যকর রাখতে পেরেছিল ইসরায়েল।

আকস্মিক এই হামলার পর দেশ দুটি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে।

ইসরায়েল কিভাবে এত নিখুঁত হামলা চালাতে পেরেছে, তা নিয়ে ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধের শুরু থেকেই আলোচনা চলছে। ইরানীদের মধ্যে দেখা দেয় তীব্র বিস্ময় ও অবিশ্বাস।

ইরান এর জন্য নিজের দেশের অন্তত ৩ জন নাগরিকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে। আটক করেছে বেশ কয়েকজনকে।

তেহরান বলছে, এসব ব্যক্তি ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের চর হিসেবে কাজ করছিলেন; যারা ইরানের স্পর্শকাতর তথ্য তেল আবিবের কাছে পাচার করেছেন।

তবে ছকে বাধা হামলা নিয়ে ইসরায়েলের সেনা প্রধান যে দাবি করেছেন, তা ইরানের দুর্বল প্রতিরক্ষা ব্যবস্থারই ইঙ্গিত দিচ্ছে।

ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর প্রধান বুধবার বলেছেন, ১২ দিনের যুদ্ধের সময় ইসরায়েলি কমান্ডোরা ইরানের ভেতরে বসেই গোপনে অভিযান চালিয়েছিল।

“আমরা ইরানের আকাশসীমার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছি এবং আমরা দেশটির যেখানেই অভিযান পরিচালনা করতে চেয়েছিলাম, সেখানেই সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ অর্জন করেছি,” বলেন ইয়াল জামির।

ইরান ঘিরে ইসরায়েলের গোয়েন্দা কার্যক্রম বহু বছরের পুরনো। তবে ইয়াল জামিরই প্রথম সামরিক কর্মকর্তা, যিনি ইরানের ভেতরে থেকে ইসরায়েলের তৎপরতা চালানোর বিষয়ে প্রকাশ্যে কথা বলেছেন।

টেলিভিশন ভাষণে তিনি বলেন, “আমাদের বিমান বাহিনী ও স্থল কমান্ডো ইউনিটগুলোর সমন্বয় এবং কৌশলগত প্রতারণার কারণেই ইরানে সফল হামলা চালানো গেছে।”

ইয়াল জামিরের দাবি, “বাহিনীগুলো শত্রু এলাকার গভীরে গোপনে অভিযান চালিয়েছিল এবং আমাদের কাজ করার স্বাধীন ক্ষেত্র তৈরি করেছিল।”

১২ দিনের সংঘাতের পর ইরান ও ইসরায়েল যুদ্ধবিরতিতে এসেছে। এরই মধ্যে প্রায় ১ হাজার জন মারা গেছেন, গুরুতর আহত হয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ।

ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গুরুত্বপূর্ণ সামরিক-বেসামরিক স্থাপনা।

তবে যুদ্ধে উভয় দেশই নিজেদের বিজয়ী দাবি করে আসছে।