মাধবকুণ্ড জলপ্রপাত বাংলাদেশের সবচেয়ে দর্শনীয় স্থানগুলোর একটি। ঝর্ণাপ্রেমী মানুষ বারবার ছুটে যান মাধবকুণ্ডের সৌন্দর্য উপভোগ করতে।
সিলেট অঞ্চলে বাংলাদেশের পর্যটন শিল্প বিকাশের বড় অবদান রয়েছে মাধবকুণ্ড জলপ্রপাতের। মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখায় অবস্থিত এই দৃষ্টিনন্দন ঝর্ণাটি দেশের অন্যতম পুরনো ভ্রমণ স্পট।
মাধবকুণ্ড বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জলপ্রপাত। প্রায় ২০০ ফুট উঁচু পাহাড় থেকে নেমে আসে এই জলপ্রপাতের ঝর্ণাধারা।
উঁচু পাহাড়ের গা ছুঁয়ে রাশি রাশি পানি নেমে আসার মোহনীয় রুপ পর্যটকদের মুগ্ধ করে আসছে।
জলপ্রপাতের চারদিকে রয়েছে বিশাল বনভূমি, সেখানে গড়ে ওঠেছে মাধবকুণ্ড ইকোপার্ক। রয়েছে ওয়াচ টাওয়ারে ওঠে আশেপাশের সৌন্দর্য উপভোগ করার সুযোগ। প্রতিবছর লাখ লাখ দর্শনার্থী সেখানে ভ্রমণ করতে যান।
এছাড়া পাশেই রয়েছে খাসিয়া নৃ-গোষ্ঠীর বসবাস। চাইলে তাদের জীবনযাত্রা, সংস্কৃতি সম্পর্কেও ধারণা নিতে পারবেন।
মাধবকুণ্ড ভ্রমণের সেরা সময়
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কারণে মাধবকুণ্ড জলপ্রপাত সারাবছরই দেখতে সুন্দর। কিন্তু যারা ঝর্ণা পছন্দ করেন, তারা সবসময় সেখানে ভ্রমণ করে আনন্দ পাবেন না।
কারণ, মাধবকুণ্ড জলপ্রপাতে সবসময় ঝর্ণা পানি দেখা গেলেও এর তীব্রতায় পার্থক্য রয়েছে। মূলত বর্ষার পর থেকেই আস্তে আস্তে পানি কমতে থাকে।
শীতকালে মাধবকুণ্ডের ঝর্ণাধারা একেবারে সরু হয়ে পড়ে। এভাবে কয়েক মাস ঝর্ণায় পানি খুব কম দেখা যায়।
বর্ষায় এসে আবার উপচে পড়ে মাধবকুণ্ড জলপ্রপাত। রাশি রাশি পানির ঢল নামে মাধবকুণ্ড। তৈরি হয় অপূর্ব সুন্দর নৈসর্গিক দৃশ্য।
যেহেতু মাধবকুণ্ডের আসল সৌন্দর্য ঝর্ণার পানি, তাই বর্ষাকাল মাধবকুণ্ড জলপ্রপাত ভ্রমণে যাওয়ার সেরা সময়।
মোটামুটি জুন থেকে সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে মাধবকুণ্ডে যাওয়ার উত্তম সময়।
মাধবকুণ্ডে যাওয়ার উপায়
ঢাকাসহ যেকোন এলাকা থেকে বাসে মাধবকুণ্ড যেতে পারবেন।
সেক্ষেত্রে নামতে হবে কাঠালতলি বাজারে, এরপর সিএনজি নিয়ে মাধবকুণ্ড জলপ্রপাতে যেতে হবে।
ট্রেনে মাধবকুণ্ডে যেতে হলে কুলাউড়া স্টেশনে নামবেন। সেখান থেকে সিএনজি নিয়ে কাঠালতলি বাজার হয়ে মাধবকুণ্ডে যেতে হবে।
ভ্রমণে সতর্কতা
বর্ষাকালে মাধবকুণ্ড জলপ্রপাতে গেলে সতর্ক থাকতে হবে। বিশেষ করে ঝর্ণার নীচে গোসল করার ক্ষেত্রে।
কারণ, পানি প্রবাহ বেশি হলে তা ঝুঁকির কারণ হতে পারে। পিচ্চিল পাথরে হাঁটাচলার ক্ষেত্রে সাবধান হোন।
বাচ্চাদের দিকে বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে।