মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বিরোধের পর এবার নিজেই রাজনৈতিক দল খুলে বসেছেন ইলন মাস্ক।
বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ এই ধনী ব্যক্তি শনিবার নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের ঘোষণা দিয়েছেন।
ইলন মাস্ক তার দলের নাম দিয়েছেন ‘আমেরিকা পার্টি’।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে বিজয়ী করতে বড় ভূমিকা রেখেছিলেন ইলন মাস্ক।
ট্রাম্পের জয়ের পর হোয়াইট হাউজে গুরুত্বপূর্ণ নীতি-নির্ধারক হিসেবে প্রত্যাশিতভাবেই জায়গা পান তিনি।
শুরুতে ট্রাম্প-মাস্ক জুটি নানা সিদ্ধান্ত নিয়ে মার্কিন রাজনীতিতে ঝড় বইয়ে দেন।
এতে ট্রাম্পের পাশাপাশি মাস্কও বিরোধীদের তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েন।
দুজনের এই জুটি অবশ্য বেশিদিন টিকেনি। ট্রাম্পের ব্যয় পরিকল্পনা নিয়ে বিরোধিতা করতে থাকেন ইলন মাস্ক।
এরপর মন্তব্য-পাল্টা মন্তব্যে এই সম্পর্ক তিক্ততায় রুপ নেয়। একপর্যায়ে হোয়াইট হাউজ ছেড়ে চলে আসেন ইলন মাস্ক।
তবে তিনি যে রাজনীতি ছেড়ে যাচ্ছেন না, নতুন দল গঠন করে সেই বার্তাই দিলেন মার্কিন ধনকুবের।
ইলন মাস্ক বলেছেন, নাগরিকদের স্বাধীনতা ফিরিয়ে দিতেই আমেরিকা পার্টি গঠন করেছেন তিনি।
মার্কিন রাজনীতি বহু বছর ধরে ২ ধারায় বিভক্ত। রিপাবলিকান ও ডেমোক্রেটিক পার্টিই বছরের পর বছর ধরে ওয়াশিংটনকে নিয়ন্ত্রণ করছে।
ইলন মাস্ক এই রাজনৈতিক প্রক্রিয়াকে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা হিসেবেই দেখছেন।
তার ভাষ্য, “যখন আমাদের দেশ অপচয় ও দুর্নীতির কারণে পিছিয়ে পড়ছে; তখন আমরা একদলীয় শাসনে বসবাস করছি, এটি গণতন্ত্র নয়।”
যুক্তরাষ্ট্রের ২০২৬ সালের মধ্যবর্তী নির্বাচনকে সামনে রেখে চলতি সপ্তাহেই দলের কাজ শুরুর পরিকল্পনা জানিয়েছেন মাস্ক।
দ্বি-দলীয় ব্যবস্থা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে সমালোচনা থাকলেও দেশটিতে ৩য় কোন দল দাঁড়াতে পারেনি।
গত শতাব্দীতে বিকল্প রাজনৈতিক দল গড়ার চেষ্টা দেখা গেলেও সেগুলো সাফল্য পেয়েছে যৎসামান্য।
যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, আর্থিক ও আইনগতভাবে দেশটিতে নতুন দল গঠন করা খুবই কঠিন।
নতুন দলে যোগ দিতে ভোটার ও প্রার্থীরা যে আত্মবিশ্বাসী হন না, সেটিও মনে করিয়ে দিয়েছেন তারা।