ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির সম্ভাবনা নিয়ে নিজের আগের অবস্থান থেকে সরে এসেছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালক তুলসি গ্যাবার্ড।
মার্কিন কংগ্রেসের সামনে এ বিষয়ে সাক্ষ্য দেওয়ার কয়েক মাস পর তিনি এখন বলছেন, ইরান ‘কয়েক সপ্তাহের মধ্যে’ পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে পারে।
তুলসি গ্যাবার্ডের এই বক্তব্য এমন সময়ে এলো, যখন ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দারা ভুল তথ্য দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ তুলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
গেল মার্চে মার্কিন কংগ্রেসকে তুলসি গ্যাবার্ড জানিয়েছিলেন, ইরানের কাছে প্রচুর উপকরণের মজুদ আছে কিন্তু তারা এই অস্ত্র তৈরি করছে না।
ইরান সবসময় বলে আসছে যে, তারা পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির চেষ্টা করছে না। যদিও এ নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলোর মধ্যে ব্যাপক উদ্বেগ রয়েছে। বছরের পর বছর ধরে তারা ইরানকে এজন্য নানা ধরণের চাপের মধ্যে রেখেছে।
চলতি মাসের শুরুতে আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থা ইরানের ইউরেনিয়ামের মজুদ সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে, যা চুল্লির জ্বালানি তৈরির পাশাপাশি পারমাণবিক অস্ত্র তৈরিতেও ব্যবহার হতে পারে।
সম্প্রতি ইরান তার পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে আমেরিকার সঙ্গে একটি সমঝোতায় পৌঁছাতে যাচ্ছিলো। এর মধ্যে গত ১৩ জুন ইসরায়েল ইরানের উপর হামলা চালায়।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর দাবি, ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করার দ্বারপ্রান্তে থাকায় তেল আবিব তেহরানে হামলা চালিয়েছে।
ইসরায়েলি বিমান হামলায় ইরানের সামরিক নেতাদের পাশাপাশি কয়েকজন পারমাণবিক বিজ্ঞানীও নিহত হয়েছেন।
এরপর দুই দেশের পাল্টাপাল্টি হামলায় এ পর্যন্ত প্রায় ৭০০ মানুষ মারা গেছেন, আহত হয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ।
এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলে আসছেন যে, ইরান ‘পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের খুব কাছাকাছি’ চলে এসেছে, যা যুক্তরাষ্ট্র হতে দিবে না।
তিনি তেহরানকে ওয়াশিংটনের সঙ্গে পারমাণবিক কর্মকাণ্ডের বিষয়ে একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে ২ সপ্তাহের সময়ও বেধে দিয়েছেন।
আমেরিকা ইরানের উপর ইসরায়েলের হামলায় যোগ দিবে কিনা, সে বিষয়েও বিবেচনা করার কথা বলছেন ট্রাম্প।