দীর্ঘ রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর সিরিয়ায় ক্ষমতার পালাবদল হলেও প্রাণঘাতি লড়াই থামছে না।
দেশজুড়ে সরকারের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা না হওয়ায় বিভিন্ন পক্ষের সশ্রস্ত্র যোদ্ধারা নিয়মিতই দ্বন্ধে জড়াচ্ছে।
এ অবস্থায় সিরিয়া আবার গৃহযুদ্ধের মুখে দাঁড়িয়ে আছে, এমন সতর্কতা এসেছে যুক্তরাষ্ট্রের তরফ থেকে।
এই সংঘাত এত বড় আকার ধারণ করতে পারে যে, তাতে সিরিয়া ভেঙেও যেতে পারে- মার্কিন বৈদেশিক সম্পর্ক কমিটির আলোচনায় এমন শঙ্কাই ওঠে এসেছে।
তবে এ বিষয়ে সিরিয়ান কর্তৃপক্ষের কোন বক্তব্য পাওয়া যায় নি।
চলতি মাসের শুরুতেই সিরিয়ায় সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় শতাধিক মানুষ মারা গেছেন। সরকারপন্থীদের যোদ্ধাদের সঙ্গে দ্রুজ সম্প্রদায়ের এই লড়াইয়ের পর সিরিয়ায় ইসরায়েল হামলাও চালিয়েছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রী মার্কো রুবিও সতর্ক করে বলেছেন, সিরিয়ার পরিস্থিতির দ্রুত অবনতি হতে পারে এবং কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই বড় আকারের গৃহযুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে পারে দেশটি।
১৩ বছররর গৃহযুদ্ধে সিরিয়াতে অন্তত ৬ লাখ মানুষ মারা গেছেন। বাশার আল আসাদ সিরিয়া ছাড়ার আগের এক যুগের লড়াইয়ে ঘরছাড়া হয়েছেন দেশটির ১২ মিলিয়ন মানুষ।
যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটে বৈদেশিক সম্পর্ক কমিটিকে সিরিয়ার বর্তমান সরকারকে সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েও রুবিও বলেছেন, সিরিয়ার সরকার চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছে।
“কয়েক মাস না, কয়েক সপ্তাহের মধ্যে দেশটি পুরোপুরি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে পারে এবং সিরিয়া ভেঙে যেতে পারে।”
তার ব্যাখ্যা, দেশটি বহুভাবে গভীর বিভক্তির মধ্যে আছে। সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ এক গ্রুপের বিরুদ্ধে আরেক গ্রুপকে উস্কে দিচ্ছে, দাবি মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রীর।
সিরিয়ায় রুশ-ইরান সমর্থিত আসাদ সরকারের পতনের পর থেকেই পশ্চিমারা নতুন সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলতে আগ্রহ দেখাচ্ছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল সারার সঙ্গে বৈঠকও করেছেন। নতুন সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলতে যুক্তরাষ্ট্র সিরিয়ার ওপর থেকে দীর্ঘদিনের নিষেধাজ্ঞাও তুলে নিতে যাচ্ছে।