গাজা যুদ্ধ বন্ধে প্রথম পর্যায়ে একমত হয়েছে ইসরাইল ও হামাস। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রথমে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্টে একথা জানান। এরপর যুদ্ধবিরতি আলোচনার অন্যতম প্রধান মধ্যস্থতাকারী দেশ কাতার এই অগ্রগতির বিষয়টি নিশ্চিত করে। এছাড়া যুদ্ধবিরতির বিষয়ে হামাস প্রকাশ্য বিবৃতি দিয়েছে। ইসরাইলি সেনাবাহিনীও এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে।
এ বিষয়ে গতকাল নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া পোস্টে ট্রাম্প লেখেন, ‘আমি অত্যন্ত গর্বের সঙ্গে ঘোষণা করছি যে ইসরায়েল ও হামাস উভয়ই আমাদের শান্তি পরিকল্পনার প্রথম পর্যায়ের বাস্তবায়নে রাজি হয়েছে। খুব শিগগির সব জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হবে। সেই সঙ্গে ইসরাইল নিজেদের সেনাদের নির্ধারণ করা একটি সীমানায় সরিয়ে আনবে।’
ট্রাম্প ফক্স নিউজকে বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, গাজা অনেক বেশি নিরাপদ জায়গা হতে চলেছে। যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রথম দফা বাস্তবায়নের পর গাজা পুনর্গঠন হবে এবং এই অঞ্চলের অন্যান্য দেশগুলি এটি পুনর্গঠনে সাহায্য করবে।
যুদ্ধবিরতি আলোচনার অন্যতম প্রধান মধ্যস্থতাকারী কাতার বলেছে যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনার প্রথম পর্যায়ের “সকল বিধান এবং বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া” নিয়ে একটি চুক্তিতে পৌঁছেছে।
হামাস এক বিবৃতিতে বলেছে, গাজার বিরুদ্ধে যুদ্ধের অবসান, সেখান থেকে দখলদারদের প্রত্যাহার, সাহায্য প্রবেশ এবং বন্দী বিনিময়ের শর্তাবলী নিয়ে একটি চুক্তিতে পৌঁছেছে।
ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুমোদনের জন্য তার সরকারকে আহ্বান করবেন। যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনা নিয়ে দু’পক্ষ সম্মত হওয়ার পর ট্রাম্পের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু। ইতিমধ্যে নেতানিয়াহু নেসেটে (ইসরাইলের পার্লামেন্ট) ভাষণ দিতে ট্রাম্পকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
তবে, যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পরও গাজায় হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরাইলি সেনারা। ইসরাইলি যুদ্ধবিমানগুলি গাজা শহরের পশ্চিমাঞ্চলে বোমা হামলা চালিয়েছে। এতে শাতি ক্যাম্পের একটি বাড়িতে আঘাত হেনেছে।
