ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি: ইরানের কোথায় কোথায় হামলা করেছে ইসরায়েল?

ইসরায়েলের হামলায় ইরানের কতটা ক্ষতি হয়েছে এবং কারা মারা গেছেন- তা এখনো স্পষ্ট নয়।

তবে যেসব তথ্য এ পর্যন্ত সামনে এসেছে, তাতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির চিত্রই ধরা পড়েছে।

ইরানের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের হত্যার মাধ্যমে ইসরায়েল আরেকটি নিখুঁত হামলার বার্তাই দিয়েছে তেহরানকে।

বিপরীতে ইসরায়েলের হামলা ঠেকাতে ইরানের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা যে ব্যর্থ হয়েছে, তাও স্পষ্ট হয়ে ওঠেছে।

ইরানের কি ক্ষতি হয়েছে?

ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর দাবি, তারা ইরানের বিভিন্ন অঞ্চলে পারমাণবিক লক্ষ্যবস্তুসহ কয়েক ডজন সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করেছে।

যেসব স্থানে আঘাত হেনেছে তার মধ্যে রয়েছে দেশটির কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত নাতাঞ্জে ইরানের প্রধান ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ স্থাপনা।

ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভিও এখানে হামলা হওয়ার বার্তা দিয়েছে, ছবিতে স্থানটি থেকে কালো ধোঁয়া উড়তে দেখা যায়।

সুরক্ষার জন্য ইউরেনিয়াম গ্যাস সমৃদ্ধকরণ স্থানটির সরঞ্জাম মাটির বেশ গভীরে স্থাপন করা হয়েছে।

সেখানে ইসরায়েলের আক্রমণ কতটা গভীরে পৌঁছেছিল তা এখনো স্পষ্ট নয়।

ইরানের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে নিউ ইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, তেহরানের আশেপাশের কমপক্ষে ছয়টি সামরিক ঘাঁটি, সামরিক কমান্ডারদের বাড়ি এবং একাধিক আবাসিক ভবনেও হামলা চালানো হয়েছে।

ইসরায়েলের হামলায় কারা মারা গেছেন?

ইসরায়েলের হামলায় ইরানের বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির নিহত হওয়ার বিষয়ে নিশ্চিত তথ্য পাওয়া গেছে।

তারা দেশটির সামরিক বাহিনীগুলোর নেতৃত্বে ছিলেন। মৃত্যুর তালিকায় বিজ্ঞানীদের নামও রয়েছে।

ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভি নিশ্চিত করেছে, ইরানের সশস্ত্র বাহিনীগুলোর কয়েকজন প্রধান ব্যক্তি ইসরায়েলের হামলায় নিহত হয়েছেন।

এর মধ্যে রয়েছেন দেশটির সবচেয়ে অভিজাত সামরিক বাহিনী- ইসলামিক রেভোলিউশনারি গার্ড কর্পসের (আইআরজিসি) প্রধান হোসেইন সালামি এবং ইরানি সেনাবাহিনী ও আইআরজিসির সামগ্রিক কমান্ডার মেজর জেনারেল মোহাম্মদ বাঘেরি।

ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভি জানিয়েছে, কমপক্ষে দুইজন পারমাণবিক বিজ্ঞানী নিহত হয়েছেন।

তারা হলেন- ইরানের পারমাণবিক শক্তি সংস্থার প্রাক্তন প্রধান ফেরেয়দুন আব্বাসি এবং তেহরানের ইসলামিক আজাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি মোহাম্মদ মেহেদি তেহরানচি।