দুবাই বিমানবন্দরে লাগেজে যেসব জিনিস নেয়া নিষিদ্ধ

বিশ্বের ব্যস্ততম বিমানবন্দরের একটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই এয়ারপোর্ট।

বাংলাদেশ, ভারত ছাড়াও বিশ্বের নানা প্রান্তের মানুষের প্রিয় গন্তব্যগুলোর একটি দুবাই।

এই বিমানবন্দরে বেশকিছু পণ্য বহন করা নিষিদ্ধ। না জানার কারণে অনেকেই এসব পণ্য নিয়ে বিপদে পড়েন।

সম্প্রতি এমিরেটস এয়ারলাইনসের ফ্লাইটে পাওয়ার ব্যাংক ব্যবহার নিষিদ্ধ করার পর এই নিয়মগুলো আবার সামনে এসেছে।

যারা দুবাই বিমানবন্দর ব্যবহার করে ভ্রমণ করছেন, তাদের জন্য হাতে নেওয়া লাগেজ বা কেবিন ব্যাগেজ সংক্রান্ত কিছু গুরুত্বপূর্ণ নিয়মাবলী রয়েছে।

দুবাই বিমানবন্দরের নিয়মাবলী:
দুবাই বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নিম্নলিখিত জিনিসগুলি কেবিন ব্যাগেজে বহন করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ:

  • হাতুড়ি, পেরেক, স্ক্রু ড্রাইভার এবং ধারালো কাজের সরঞ্জাম।
  • ৬ সেন্টিমিটারের বেশি লম্বা ফলকযুক্ত কাঁচি। ব্যক্তিগত গ্রুমিং কিটের ৬ সেন্টিমিটারের বেশি লম্বা অংশ বাজেয়াপ্ত করা হবে।
  • তলোয়ার এবং অন্যান্য ধারালো বস্তু।
  • হাতকড়া।
  • আগ্নেয়াস্ত্র, ফ্লেয়ার গান ও এর গোলাবারুদ।
  • লেজার গান, ওয়াকি টকি।
  • লাইটার (একজন যাত্রী তার নিজের কাছে শুধুমাত্র একটি লাইটার রাখতে পারবেন)।
  • ব্যাট, মার্শাল আর্টের অস্ত্র।
  • ড্রিল, দড়ি, মেজারিং টেপ, প্যাকিং টেপ।
  • ব্যক্তিগত ভ্রমণের জন্য প্রয়োজনীয় নয় এমন বৈদ্যুতিক তার।
  • সীমিত জিনিসপত্র (Restrictions):
    কিছু জিনিস কেবিন ব্যাগেজে বহন করা গেলেও সেগুলোর উপর কিছু নিষেধাজ্ঞা রয়েছে:
  • তরল পদার্থ: প্রতিটি তরল পদার্থের কন্টেইনারে সর্বোচ্চ ১০০ মিলিলিটার থাকতে হবে। একজন যাত্রী সর্বোচ্চ ১০টি কন্টেইনার বা মোট ১ লিটার পর্যন্ত তরল বহন করতে পারবেন। এগুলো একটি স্বচ্ছ, পুনরায় সিল করা যায় এমন প্লাস্টিকের ব্যাগে রাখতে হবে।
  • ওষুধপত্র: যদি কোনো যাত্রী ওষুধ বহন করেন, তবে অবশ্যই ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন সঙ্গে রাখতে হবে।
  • পাওয়ার ব্যাংক: পাওয়ার ব্যাংক বহন করা যাবে, তবে সেটির আউটপুট ১০০ ওয়াট-ঘণ্টার (Wh) বেশি হওয়া যাবে না। ১০০ থেকে ১৬০ ওয়াট-ঘণ্টার মধ্যে হলে এয়ারলাইনের নিয়মানুসারে অনুমতি পাওয়া যেতে পারে। তবে ১৬০ ওয়াট-ঘণ্টার বেশি হলে তা বহন করা যাবে না। ফ্লাইটের সময় পাওয়ার ব্যাংক ব্যবহার করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।