ইরান-ইসরায়েলের পাল্টাপাল্টি হামলায় দুই দেশেই ব্যাপক প্রাণহানি ঘটছে। আহত হয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ।
সামরিক স্থাপনার পাশাপাশি জনবসতিও আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু হওয়ায়, সরকারি তথ্যের বাইরে মৃত্যুর সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ইরানে ইসরায়েলের ব্যাপক হামলার মধ্যে ৪৩০ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। আর অন্তত সাড়ে ৩ হাজার মানুষ আহত হয়েছেন; যাদের অনেকে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
অন্যদিকে ইসরায়েলের সরকারি তথ্য বলছে, দেশটির কয়েকশ’ মানুষ ইরানের হামলায় আহত হয়েছেন। ইসরায়েলে ২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে তেল আবিব।
প্রাণঘাতি এই সংঘাতে সামরিক স্থাপনার বাইরেও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে হামলা হচ্ছে। হাসপাতালও আক্রমণের বাইরে থাকছে না।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশ কূটনৈতিক তৎপরতায় আলোচনা চালালেও ইরান ও ইসরায়েলের অনড় অবস্থানের কারণে শিগগিরই যুদ্ধ থামার ইঙ্গিত মিলছে না।
ইরান জানিয়েছে, ইসরায়েল আক্রমণ বন্ধ করলেই কেবল দেশটি সমঝোতার টেবিলে বসতে পারে।
এই প্রস্তাবের পরও তেহরান ও তেল আবিব বিমান হামলা, ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ ও ড্রোন আক্রমণের মাধ্যমে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার চেষ্টা করে আসছে। যার ফলে সংঘাত দীর্ঘস্থায়ী হতে যাচ্ছে বলেই মনে করছেন সমর বিশেষজ্ঞরা।
এর মধ্যে যুদ্ধে ইসরায়েলের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি হামলায় জড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে, যা মধ্যপ্রাচ্যকে বড় সংকটের দিকে ঠেলে দিতে পারে। বিপরীতে রাশিয়া, চীন, তুরস্কের মত শক্তি সরাসরিই ইরানের পক্ষে সমর্থন জানিয়ে আসছে।