৫ ইসলামী ব্যাংকের গ্রাহকরা যেভাবে টাকা ফেরত পাবেন

ধুঁকতে থাকা পাঁচ ইসলামী ব্যাংকের গ্রাহকদের টাকা ফেরত দেওয়ার পরিকল্পনা করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর ফলে টাকা নিয়ে উদ্বেগে থাকা গ্রাহকদের মধ্যে স্বস্তি ফিরবে, আশা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের।

এই ব্যাংকগুলোকে একিভূত করার পরই আমানতকারীদের টাকা ফেরত দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু হবে, জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

যে ৫ ব্যাংক একিভূত হবে

সরকার যে ৫টি দুর্বল ব্যাংককে একিভূত করতে যাচ্ছে, তার সবকটিই বাংলাদেশে ইসলামী ব্যাংকিং ধারায় ছিল। এর মধ্যে রয়েছে- সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক ও গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক।

এই ৫টি ব্যাংক এক হওয়ার পর নাম হবে ‘ইউনাইটেড ইসলামী ব্যাংক’, বাংলাদেশ ব্যাংকের ৫ কর্মকর্তাকে প্রশাসক হিসেবে বসিয়ে নতুন ব্যাংক গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হবে। এজন্য ৫ বছর সময় লাগতে পারে, বলেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান।

ব্যাংকগুলো কেন দেউলিয়া হলো?

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক একজন কর্মকর্তা বাংলা ইনসাইট টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলছেন, রাজনৈতিক প্রভাবে দেশের ব্যাংকিং খাতে যে ধাক্কা পড়েছে, তার প্রভাবেই এই ৫টি ব্যাংক দেউলিয়া হয়ে পড়েছে। ফলে এখন ব্যাংকগুলোকে একিভূত করার উদ্যোগ নিতে হয়েছে।

তার ভাষ্য, “একটি দুষ্টুচক্র ব্যাংকগুলোর পরিচালনা পর্ষদের সঙ্গে আঁতাত করে কোটি কোটি টাকা ঋণ হিসেবে বের করে নিয়েছে। এরপর সেগুলো বিদেশ পাঠিয়ে দিয়েছে। ফলে ঋণের টাকাটা ব্যাংক আর ফেরত পাচ্ছে না। কিন্তু ব্যাংকের তো নিজস্ব টাকা নেই, এগুলো গ্রাহকের টাকা।

“সেই টাকা তো আর তার ফান্ডে নেই। ফলে এখন গ্রাহকদের টাকা দিতে পারছে না। এভাবেই এরা দেউলিয়া হয়ে পড়েছে।”

এ কারণে একিভূত করার সিদ্ধান্তকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন অর্থনীতিবিদরা।

গ্রাহকরা কিভাবে টাকা ফেরত পাবেন?

দীর্ঘদিন ধরে দুর্বল অবস্থায় থাকা এই ব্যাংকগুলো থেকে লগ্নি করা টাকা ফেরত পাওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন আমানতকারীরা। তাদের উদ্বেগ আরও বাড়ে ব্যাংকগুলো একিভূত করার সিদ্ধান্তে।

নতুন ব্যাংক গঠনের উদ্যোগে যুক্ত একজন কর্মকর্তা বাংলা ইনসাইট টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন, ৫ ব্যাংকের সবকিছু অধিগ্রহণ করার পরই কম টাকা যারা লগ্নি করেছেন, তাদের টাকা ফেরত দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু হবে।

এক্ষেত্রে যাদের আমানত ২ লাখ টাকার কম, তাদের শুরুতে টাকা ফেরত পাবেন। তবে যাদের এর বেশি টাকা আমানত রয়েছে, তাদের টাকা ফেরত পেতে সময় লাগবে।

আর ব্যাংকগুলোতে বড় আকারের লগ্নি যাদের রয়েছে, তাদের নতুন ব্যাংকে শেয়ার দেয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।