কোটা আন্দোলনে প্রথম মারা যাওয়া আবু সাঈদের হত্যা মামলার অভিযোগ আমলে নিয়ে ২৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
একই সাথে আগে গ্রেপ্তার হওয়া বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর শরিফুল ইসলামসহ ৪ জনকে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
আনুষ্ঠানিক অভিযোগে আবু সাঈদকে হত্যার উদ্দেশ্যে একজন পুলিশ কনস্টেবলের গুলি করার প্রমাণ তুলে ধরা হয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলার সময় ২০২৪ সালের ১৬ই জুলাই মারা যান বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ।
এ ঘটনার ভিডিওচিত্র ছড়িয়ে পড়ার পর দেশজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়, আন্দোলন আরও জোরদার হয়।
এক পর্যায়ে তা সেই সময়ের ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের জন্য আবু সাঈদের মৃত্যুকেই বড় কারণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
এ ঘটনায় তার মা চলতি বছরের ২৫শে ফেব্রুয়ারি প্রসিকিউশনের কাছে অভিযোগ জমা দেন। আর ২৪ শে জুন প্রতিবেদন জমা দেয় তদন্ত সংস্থা।
যাচাই-বাছাই শেষে ১০৯ পাতার আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিলের বিষয়টি আদালতকে জানায় প্রসিকিউশন।
এই মামলায় গ্রেপ্তার আছেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর শরিফুল ইসলাম, ছাত্রলীগ নেতা ইমরান চৌধুরী আকাশ, কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায় ও আমির হোসেন।
আবু সাঈদ হত্যা মামলাটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে জুলাই আন্দোলন সংক্রান্ত প্রথম মামলা।