২ বছর পর হামাসের জিম্মি থেকে মুক্ত ২০ ইসরাইলি

যুদ্ধ বন্ধের শর্ত মেনে ইসরাইলের জীবিত ২০ জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে ফিলিস্তিনের সশস্ত্র সংগঠন হামাস। সোমবার স্থানীয় সময় সকাল ৮টার পর থেকে দুই ধাপে তাদের মুক্তি দেওয়া হয়।

ইসরাইলি সেনাবাহিনী (আইডিএফ) জিম্মি মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তবে হামাস প্রথম ধাপের জিম্মি মুক্তির বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে।

ইসরাইলি কর্তৃপক্ষের হিসেব অনুযায়ী, গাজায় সবশেষ ৪৮ জন ইসরাইলি জিম্মি অবস্থায় ছিলেন। তাদের মধ্যে ২০ জন বেঁচে ছিলেন। বাকি মৃত জিম্মিদেরও পর্যায়ক্রমে ইসরাইলের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

এদিকে, চুক্তি অনুযায়ী সব জিম্মিদের মুক্তির বিনিময়ে ইসরাইলে বন্দি ফিলিস্তিনিদের মুক্তি দিয়েছে তেল আবিব। এরইমধ্যে তাদের বহনকারী বাস গাজা অভিমুখে যাচ্ছে।

ইসরাইলি সেনাবাহিনী বলেছে, মুক্তি পাওয়া সব জিম্মি গাজা থেকে ইসরাইলে ফিরে এসেছে। তাদের শারীরিক অবস্থা মোটামুটি ভালো বলে জানিয়েছে বিভিন্ন গণমাধ্যম।

গাজা যুদ্ধ বন্ধে আনুষ্ঠানিক চুক্তি সই অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার আগে ইসরাইলে গেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরপর মিশরে শার্ম আল শেখে ওই চুক্তি সই অনুষ্ঠিত হবে।

তেল আবিবে বিমানবন্দরে অবতরণের পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জেরুজালেমে গিয়েছেন। সেখানে তিনি ইসরাইলি পার্লামেন্ট নেসেটে ভাষণ দেবেন এবং জিম্মিদের কয়েকটি পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।

এরপর গাজা শান্তি সম্মেলনে যোগ দিতে মিশরের অবকাযাপনকেন্দ্র শারম এল-শেখের উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন ট্রাম্প। ওই সম্মেলনে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারসহ প্রায় ২০ জন বিশ্বনেতা উপস্থিত থাকবেন।

দুই বছর যুদ্ধ চলার পর গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত পরিকল্পনার ভিত্তিতে গাজায় যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে ইসরাইল। চলতি সপ্তাহ থেকে কার্যকর হয় যুদ্ধবিরতি। যুদ্ধবিরতি শুরুর পর এই প্রথম জিম্মিদের মুক্তির ঘটনা ঘটল।