একদিন জনতার কবি এসেছিলো
দু’চোখে লাল আর সবুজের পতাকা
সবুজ তার সহজাত ভালোবাসা
লাল, ভালোবাসা প্রতিষ্ঠার মাসুল।
কবি, তর্জনী উঁচিয়ে হাত নেড়ে নেড়ে
জনতার কথা বলে,
মাটি ও মানুষের কথা বলে,
এক বুক ভালোবাসা নিয়ে বলে
বঞ্চিতের অধিকারের কথা।
এক দুঃখী ভূমির সম্ভ্রম হারানোর কাহিনী বলে কবি,
ভূমির স্তন চুষে খায় হায়েনা,
বুকে তার অর্ধভুক্ত সন্তান।
কোন এক ফাগুনের দুপুরে মাইকিং হয়েছিলো
মাতৃভূমির সম্ভ্রম রক্ষার মন্ত্র বলে দেবে কবি।
তাই,
হাটুরে মাঠুরে এলো
ছাত্র-শিক্ষক এলো
তাঁতী-মাঝি এলো
ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার এলো
আমলা-কেরানি এলো
কৃষাণ-মজুর এলো
এমনকি এলো,
জানু মাঝে বসে সঙ্গমরত টসটসে লাল কাপোল।
যে যেখানে ছিলো ছুটে এলো
পিঁপড়ার মতো সারি সারি
পঙ্গপালের মতো দলে দলে
লাখে লাখে মানুষ, মানুষ আর মানুষ
মানুষের ঢেউয়ে ঢেউয়ে ফুঁসে উঠেছিলো ঢাকা শহর।
বাতাসে বাতাসে কানাকানি হচ্ছিলো,
কখন আসবে কবি? কী মন্ত্র বলবে কবি?
অবশেষে মঞ্চ উন্মোচিত হলো
কবি আবৃত্তি করলো তার মাটি মুক্তির মন্ত্র
‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম …’
(শহীদুল্লাহ রাজু, কবি ও সাংবাদিক)
