এবিএম খায়রুল হকের যে রায় আলোচিত-সমালোচিত

বাংলাদেশের সবচেয়ে আলোচিত বিচারপতিদের একজন এবিএম খায়রুল হক।

কারণ তার রায় দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসকে পাল্টে দিয়েছে। ফলে এবিএম খায়রুল হককে রাজনৈতিক বিরোধের প্রতিক্রিয়ার ভিতর দিয়ে যেতে হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকার ধানমন্ডির বাসা থেকে তাকে আটক করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।

১৯তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে খায়রুল হক দায়িত্ব পালন করেন সাড়ে ৭ মাস।

এই সময়ে তার সবচেয়ে আলোচিত রায়টি ছিল তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বাতিল করে দেয়া।

বাংলাদেশে ওয়ান-ইলেভেনের পর থেকেই তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বেশ বিতর্কের মুখে পড়ে। নির্বাচনের জন্য অনির্বাচিত ব্যক্তিদের ক্ষমতা নেয়ার এই চর্চা যে উন্নত গণতান্ত্রিক দেশগুলোতে নেই, সেটিও সেসময় অনেকে সামনে এনেছিলেন।

২০১১ সালের ১৭ মে এবিএম খায়রুল হক অবসরে যান। এর এক সপ্তাহ আগে ১০ মে তার নেতৃত্বে আপিল বেঞ্চ সংবিধানের ১৩তম সংশোধনী বাতিল করে দেয়।

এর ফলে নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ধারণাও বাতিল হয়ে যায়। যা নির্বাচিত সরকারের অধীনেই নির্বাচনের পথ খুলে দেয়।

খায়রুল হকের রায়ের পর আওয়ামী লীগ শিবির থেকে তা ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়। তাদের দাবি ছিল, এর মধ্য দিয়ে অগণতান্ত্রিক শক্তির ক্ষমতা দখলের পথ বন্ধ হবে।

অন্যদিকে বিএনপি শিবির থেকে এর তীব্র বিরোধিতা করা হয়। তাদের দাবি ছিল, পক্ষপাতদুষ্ট নির্বাচন করে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় রাখতেই এই রায় দেয়া হয়েছিল।