শ্রীলঙ্কার মাটিতে আগে কখনও কোনো সিরিজ জিততে পারেনি বাংলাদেশ। লিটন দাসের নেতৃত্বে টি-টুয়েন্টিতে সেই কাজটি প্রথমবার করল বাংলাদেশ।
শেখ মেহেদী হাসান ও তানজিদ হাসান তামিমের ক্যারিয়ার সেরা বোলিং ও ব্যাটিংয়ে টি-টুয়েন্টিতে ২-১ ব্যবধানে প্রথম কোনো সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ।
প্রথমে ইনিংসে শেখ মেহেদী হাসানের ক্যারিয়ার সেরা বোলিং করেন। এরপর ক্যারিয়ার সেরা ব্যাটিং করেছেন বাঁহাতি ওপেনার তানজিদ তামিম। চার ওভারে এক মেডেনে ১১ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন মেহেদী। এরপর ব্যাটিংয়ে তামিম ক্যারিয়ার সেরা ৭৩ রানের ইনিংস খেলেছেন।
সিরিজে শেষ টি-টুয়েন্টিতে টসে জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন শ্রীলঙ্কান অধিনায়ক চারিথ আশালাঙ্কা। বাংলাদেশের ভালো বোলিংয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৩২ রান তোলে তারা। জবাবে ১৬.৩ ওভারে ৮ উইকেটের বড় জয় তোলে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের ম্যাচজয়ী বলে ৭৩ রানের অপরাজিত ম্যাচজয়ী ইনিংস খেলেছেন এ ব্যাটার। তার আগে ২৬ বলে ৩২ রানের দুর্দান্ত ভিত গড়ে দিয়ে যান অধিনায়ক লিটন দাস। এছাড়া তাওহিদ হৃদয় ২৭ রানে অপরাজিত থাকেন।
প্রথম ইনিংসের প্রথম ওভারে শরিফুল ইসলামের বলে ঝড় তোলার চেষ্টা করেন দুই ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কা ও কুশল মেন্ডিস। তবে প্রথম পাঁচ বলে ১৪ রান আসলেও শেষ বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন কুশল। দ্বিতীয় ওভারে দলে ফেরা শেখ মেহেদী প্রথম বল মোকাবেলা করা কুশল পেরেরাকে স্লিপে ক্যাচ বানিয়ে সাজঘরে ফেরান।
পাওয়ার প্লের পঞ্চম ওভারে এসে শেখ মেহেদীর আরেক আঘাত। এবার সাজঘরে পাঠান চান্দিমালকে। মিড উইকেটে খেলতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন, সেটা ধরতে ভুল করেনি জাকের আলী অনিক। পাওয়ার প্লে শেষে শ্রীলঙ্কার স্কোর দাঁড়ায় ৪০ রানে ৩ উইকেট।
পাওয়ার প্লে শেষে কিছুটা রান তোলার তাড়ায় ছিল লঙ্কানরা। এ সময় শেখ মেহেদীর আবার আঘাত। এবার সাজঘরে ফেরেন অধিনায়ক আশালাঙ্কা, করেন মাত্র ৩ রান। আবার মেহেদীর আঘাত, এবার আউট করেন ঝড়ো ৪৬ রান করা ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কাকে।
মেহেদীর পর মোস্তাফিজুর রহমান ১৬ রান দিয়ে এক উইকেট নিয়েছেন। এছাড়া শামীম পাটোয়ারি ও শরিফুল ইসলাম নিয়েছেন একটি করে উইকেট।
