খেলা মানেই জয় পরাজয়। তবে, কিছু জয় বা পরাজয় ক্রিকেটারদের জন্য লজ্জাও বয়ে আনে। যেমনটা গতকাল সোমবার হজম করতে হয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। দেশের মাটিতে তৃতীয় টেস্টে মাত্র ২৭ রানে অলআউট হয়ে নতুন রেকর্ড গড়লো ক্যারিবীয়রা। যা টেস্ট ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন। তবে প্রথম সর্বনিম্ন রানে অলআউট হওয়ার রেকর্ড নিউজিল্যান্ডের ঝুড়িতেই। ৭০ বছর আগে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২৬ রানে গুটিয়ে যায় ব্ল্যাকক্যাপসদের ইনিংস।
ঘরের মাটিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ দিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়কত্ব পেয়েছিলেন রোস্টন চেজ। কিন্তু তার এই নতুন অধ্যায়ের শুরুটা হয়তো মনে রাখতে চাইবেন না। কেননা ৩ টেস্টই জিতে নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। কেবল হোয়াইটওয়াশ হলেই হয়তো সান্ত্বনা পেতো ক্যারিবীয়রা। কিন্তু তৃতীয় টেস্টে অবিশ্বাস্যভাবে মাত্র ২৭ রানেই গুটিয়ে যাওয়ার রেকর্ড হয়তো অনেক বছরই তারা করবে রোস্টন চেজদের।
সিরিজের তৃতীয় টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার দেওয়া ২০৪ রানের লক্ষ্য তাড়ায় তারা মাত্র ১৪.৩ ওভারেই ২৭ রানে অলআউট হয়েছে। ক্যারিবীয় ইনিংসের প্রথম ওভারেই ৩ উইকেট তুলে নিয়ে সেই ধসের শুরুটা করেন মিচেল স্টার্ক। শেষ পর্যন্ত তিনি শিকার করেন ৬ উইকেট। তবে এর পাশাপাশি ইতিহাসের পাতায় আরেকজন পেস বোলারও নাম লিখিয়েছেন। তিনি হলেন স্কট বোল্যান্ড। টেস্টের মাত্র দশম বোলার হিসেবে তিনি হ্যাটট্রিকও করেছেন। সবশেষ ২৭ রানে অলআউট করে ১৭৬ রানে ম্যাচ জিতে নেয় অস্ট্রেলিয়া।
রেকর্ডগড়া এই ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাত ব্যাটারই শূন্য রানে আউট হয়েছেন। এমনকি তাদের প্রথম ছয় টপঅর্ডার ব্যাটার মিলে করেছেন মাত্র ৬ রান। যা টেস্ট ইতিহাসের কোনো ইনিংসে সর্বনিম্ন। এ ছাড়া ক্যারিবীয়দের দ্বিতীয় ইনিংসে খেলা ১৪.৩ ওভার টেস্ট ইতিহাসে তৃতীয় সর্বনিম্ন। এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকা ১৯২৪ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৩০ রানে গুটিয়ে যাওয়ার পথে মাত্র ১২.৩ ওভার ব্যাট করেছিল। এ ছাড়া গত নভেম্বরে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ১৩.৫ ওভারে অলআউট হয় শ্রীলঙ্কা।
টেস্টে সর্বনিম্ন রানের রেকর্ড ছিলো ৭০ বছর আগে নিউজিল্যান্ডের। তার ২৬ রানে অলআউট হয়েছিলো ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। ১৯৫৫ সালে অকল্যান্ড টেস্টে নিজেদের মাটিতে নিউজিল্যান্ড সেই লজ্জায় ডুবেছিল। এর আগে টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সর্বনিম্ন ৪৭ রানে অলআউট হওয়ার নজির ছিল। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সেই টেস্টও কাকতালীয়ভাবে হয়েছে জ্যামাইকার এই মাঠেই।
স্কোর: অস্ট্রেলিয়া ২২৫ ও ১২১, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১৪৩ ও ২৭।