ইরানে ইসরায়েলের হামলায় আহত হয়েছিলেন দেশটির প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানও।
ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম ফারস নিউজ এজেন্সি এ তথ্য জানিয়েছে।
যদিও এ তথ্যটি স্বাধীন ভাবে যাচাই করা যায়নি। এ বিষয়ে ইসরায়েল এখনো কোন মন্তব্য করেনি।
গেল জুনে ইসরায়েল ইরানের সামরিক নেতৃত্ব ও বিজ্ঞানীদের লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছিল।
তাতে তেহরান কৌশলগতভাবে বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিকে হারিয়েছে।
ইসরায়েল যে ইরানের প্রেসিডেন্টকেও হামলার লক্ষ্য করতে পেরেছিল, নতুন তথ্য তা-ও বেরিয়ে এল।
ইরানের গণমাধ্যমে তথ্য অনুযায়ী, গত ১৬ জুন ঘটনাটি ঘটেছিল।
৬টি ইসরায়েলি বোমা তেহরানের ভূ-গর্ভস্থ একটি গোপন আস্তানাকে টার্গেট করে।
সে সময় পেজেশকিয়ান সেখানে জাতীয় সর্বোচ্চ নিরাপত্তা কাউন্সিলের জরুরি বৈঠক করছিলেন।
ইসরায়েল গোপন আস্তানাটিতে ঢুকা ও বাহির হওয়ার সব রাস্তায় আঘাত হানে। এ সময় সেখানে বিদ্যুৎও বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
বোমা হামলায় ইরানের প্রেসিডেন্ট পায়ে আঘাত পান। একপর্যায়ে অন্যদের সঙ্গে তিনি জরুরিভাবে ঘটনাস্থল থেকে সরে যেতে সক্ষম হন।
ইরানের শীর্ষ ব্যক্তিদের হামলার শিকার হওয়ার জন্য তেহরান দেশটিতে থাকা ইসরায়েলের চরদের দায়ী করছে।
গত সপ্তাহে পেজেশকিয়ান ইসরায়েলের বিরুদ্ধে তাকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ করেছিলেন।
আর ইসরায়েল জানিয়েছিল যে, তারা ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনীকেও হত্যার চেষ্টা করেছিল। তার আগেই তিনি গোপন আস্তানায় চলে যাওয়ায় সে চেষ্টা সফল হয়নি।
তবে তেল আবিব কিভাবে তেহরানের স্পর্শকাতর তথ্য সংগ্রহ করে সফল অভিযান চালিয়েছিল, তা এখনো রহস্য হিসেবেই আছে।
এসব ঘটনা ইরানের নেতৃত্বকে চমকে দিয়েছিল এবং অন্তত ২৪ ঘণ্টা কোন সিদ্ধান্ত নিতে তেহরানের নীতি-নির্ধারকদের থমকে দিয়েছিল।