নিজেদের দাবি নিয়ে ঢাকার বিআরটিএ ভবনের সামনের রাস্তায় রোববার বসে পড়েন কয়েকশ’ সিএনজি চালক।
এই অবস্থান কর্মসূচির কারণে বনানী হয়ে মহাখালীমুখী সব ধরণের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
বিকালে বিআরটিএ ভবনের সামনে দেখা যায়, রাস্তায় ৩টি সিএনজি রাখা আছে ব্যারিকেড হিসেবে।
ব্যারিকেডের দক্ষিণ দিকে তিন থেকে চারশ’ সিএনজি চালক বসে আছেন। কেউ গল্প করছেন, কেউ মোবাইলে খেলছেন।
একই সময়ে তাদের পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন হাজার হাজার পথচারী। কেউ ব্যাগ নিয়ে, কেউ ছোট বাচ্চা সঙ্গী করে হাঁটছেন।
সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন নারী ও বয়স্ক ব্যক্তিরা।
তাদেরই একজন সোহেল রানা এসেছেন গাজীপুর থেকে, যাবেন গুলিস্তানে।
তিনি জানান, কুর্মিটোলা এসে তার বাস থেমে যায়। প্রথম যানজট ভাবলেও পরে পরিস্থিতি অস্বাভাবিক মনে হওয়ায় হাঁটা শুরু করেন তিনি।
“কতক্ষণ আর বসে থাকা যায়? আমার তো জরুরি কাজ আছে, সেজন্য হেঁটেই যাচ্ছি। কষ্ট হলেও কাজ শেষ করে গাজীপুর ফিরতে হবে।”
আরেকজন বেসরকারি চাকরিজীবী আকবর হোসেন জানালেন, বাসে বসে থেকে বিকেলের শিফটে অফিসে ঢোকার সময় শেষ হয়ে যাওয়ায় তিনি হেঁটে যাচ্ছেন।
“রাস্তায় কি হচ্ছে তা তো অফিস মানবে না! আমাদের কাজ করে খেতে হয়। কিন্তু এখানে এসে আন্দোলন দেখে হতাশ হয়েছি।”
ক্ষুব্দ আকবর হোসেনের ভাষ্য, “২-৩শ’ মানুষ এখানে বসে আড্ডা দিচ্ছি, খেলছে। রাস্তা বন্ধ করে তারা মজা মারছে, আর লাখ লাখ যাত্রী কষ্ট করছে। এরচেয়ে মশকরা কি হতে পারে?
“দাবি থাকলেই মানুষকে কেন এভাবে কষ্ট দিতে হবে? আর সরকারই কি করছে? হয় তারা সমাধান দিক, সমাধান না থাকলে তাদের রাস্তা থেকে সরতে বলুক।”
আন্দোলনে থাকা সিএনজি চালক শফিকুল ইসলামের দাবি, বিআরটিএ বারবার আশ্বাস দিয়েও তাদের ঢাকা মহানগরে গাড়ি চালাতে না দেওয়ায় তারা রাস্তা বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছেন।
ইউটিউবে শুনুন পুরো বক্তব্য: সিএনজি চালকরা যে কারণে আন্দোলনে
বিআরটিএ দাবি মেনে নিলেই রাস্তা ছেড়ে দিবেন, বলেন সেলিম নামের আরেকজন চালক।
“মানুষকে আমরা ভোগান্তি দিতে চাই না। কিন্তু বিআরটিএ’র কারণে তারা কষ্ট পাচ্ছে। দাবি মানলেই তো আমরা চলে যাবো।”
এই চালকের দাবি, অনুমোদন না থাকায় ঢাকা থ সিএনজির চালকরা মহানগর এলাকায় ঢুকতে পারেন না। তারা চান তাদের এই অনুমোদন দেয়া হোক।
সেলিম মিয়া বলেন, “আগে কড়াকড়ি ছিল না, ঢুকতে পারতাম। গত ৬-৭ মাস ধরে পারছি না। ঢাকায় না ঢুকলে ভাড়া পাবো কিভাবে? সংসার চলবে কিভাবে?”