দুদক থেকে শরীফ উদ্দিনের চাকরিচ্যুত হওয়ার ঘটনা ছিল দুঃখজনক- এমন পর্যবেক্ষণ বাংলাদেশের আদালতের।
বুধবার তার চাকরি ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
এর মাধ্যমে চাকরি ফিরে পেতে প্রায় আড়াই বছরের লড়াই শেষ হলো শরীফ উদ্দিনের।
চাকরি ফিরে পেয়ে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন শরীফ।
কি ঘটেছিল শরীফ উদ্দিনের সঙ্গে?
শরীফ উদ্দিন দুর্নীতি দমন কমিশনের আলোচিত কর্মকর্তাদের একজন ছিলেন।
কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনায় তার তদন্ত দেশজুড়ে আলোচনায় এসেছিল।
দুদকের চট্টগ্রাম কার্যালয়ে দায়িত্ব পালনের সময় কক্সবাজারে ভূমি অধিগ্রহণ, রোহিঙ্গাদের জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়াসহ কিছু বড় দুর্নীতি মামলার তদন্ত করেছিলেন শরীফ উদ্দিন।
এসব ঘটনায় তিনি একাধিক প্রভাবশালী মহলের রোষানলে পড়েছিলেন বলে সেসময় ঢাকার গণমাধ্যমে খবর বেরিয়েছিল।
একপর্যায়ে তার বিরুদ্ধে তিনটি বিভাগীয় মামলা দেয় দুদক।
পরে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে তাকে চাকরি থেকে সরিয়ে দেয়া হয়।
এই ঘটনা তখন বেশ সমালোচনার জন্ম দেয়।
অভিযোগ ওঠে যে, দুর্নীতিবাজদের চাপে শরীফের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিল দুদক।
যদিও গত আড়াই বছরের এসব অভিযোগের কোন প্রমাণ সামনে আসেনি।
তবে শরীফ উদ্দিনের আলোচিত প্রতিবেদনগুলোতে যারা অভিযুক্ত হয়েছিলেন, তাদের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি বলে আদালতকে জানিয়েছেন দুদকের আইনজীবী।
আইনি লড়াই
শরীফকে অপসারণে দুদকের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে পরে হাইকোর্টে মামলায় রুল জারি করা হয়।
সেই রুলের শুনানি শেষে বুধবার রায় ঘোষণা করেন বিচারক।
তাতে শরীফ উদ্দিনের চাকরি ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়।
একই সঙ্গে তাকে বেতনসহ সব পাওনা ও সুযোগ সুবিধা দিতে রায় দিয়েছে আদালত।
আদালতের পর্যবেক্ষণ, শরীফের চাকরিচ্যুতি ছিল ‘দুঃখজনক’ ঘটনা।