ডেনমার্কের উত্তর-পূর্বে অবস্থিত ছোট্ট সমুদ্রতীরবর্তী শহর হুন্ডেস্টেড পরিণত হয়েছে বালির রাজ্যে। সেখানে শুরু হয়েছে ১৪তম হুন্ডেস্টেড স্যান্ড স্কাল্পচার ফেস্টিভ্যাল।
এখানে বালুকণায় গড়া হয়েছে শোটাইম থিমে অসংখ্য শিল্পকর্ম।
চার্লি চ্যাপলিন, মিস পিগি, সার্কাসের জোকার কিংবা গ্র্যান্ড অপেরার চশমা—এসব চরিত্রকে কেন্দ্র করে তৈরি ভাস্কর্যগুলো দর্শকদের টেনে নিয়ে যাচ্ছে কল্পনার দুনিয়ায়।
২০১২ সালে পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে শুরু হওয়া এই উৎসবটি এখন আন্তর্জাতিক মর্যাদা পেয়েছে।
এবারের উৎসবে অংশ নিচ্ছেন বেলজিয়াম, কানাডা, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, ইতালি, নেদারল্যান্ডস, লাটভিয়া সহ বিভিন্ন দেশের ১৬ জন ভাস্কর।
তারা এক পক্ষকাল ধরে দুটি করে বিশাল বালির ভাস্কর্য তৈরি করছেন।
ইতালির শিল্পী মিশেলা সিয়াপ্পিনি তৈরি করছেন নৃত্যরত এক বৃদ্ধার ভাস্কর্য।
ব্রিটিশ ভাস্কর নিকোলা উড তুলে ধরেছেন এক নারী চরিত্র, যাকে তিনি গড়েছেন পিকাসো ঘরানার ভেঙে গড়া রূপে। শক্তিশালী বাহু, চিতাবাঘের প্রিন্ট, সার্কাসের ডোরাকাটা- সব মিলিয়ে এই ভাস্কর্য একটি প্রতীকী উপস্থাপনা।
এই ভাস্কর্যগুলো টিকে থাকে সপ্তাহের পর সপ্তাহ। বালির সঙ্গে সামান্য মাটি মিশিয়ে এগুলোকে টেকসই করা হয়, যাতে বৃষ্টি ও বাতাসে সহজে ভেঙে না পড়ে।
তবে শরতের তুষারপাতের আগে এগুলোর আয়ু শেষ হয়ে আসে। তখন উৎসব আয়োজকরা একই বালি পুনরায় ব্যবহার করেন।
গত ১ যুগে বালির ভাস্কর্য দেখতে হুন্ডেস্টেডে গিয়েছেন লাখ লাখ মানুষ।
পরিসংখ্যান বলছে, প্রতি বছর ৬০ হাজারের বেশি দর্শক আসেন এই উৎসবে। এ বছর ২৩ মে থেকে শুরু হতে যাওয়া এই অনবদ্য প্রদর্শনী চলবে অক্টোবরের শেষ পর্যন্ত।