কিভাবে মাসের খরচ কমাবেন?

সংসারের খরচ কমানোর উপায়

হাতে অঢেল টাকা থাকলে সংসারের খরচ নিয়ে কোন চিন্তা থাকে না। কিন্তু মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তের সংসার চালানো সবসময়ই টানাটানির। কেউ চিন্তা করেন মাস শেষ হবে কবে, কারও চিন্তা মাস শেষে কিছু টাকা জমাতে না পারার।

তবে কিছু কৌশল অবলম্বন করে চাইলেই আপনি মাসের খরচ কিছুটা কমিয়ে আনতে পারেন।

হিসাব লিখে রাখুন:

কোথায় কি খরচ করছেন তা খাতায় লিখে রাখুন। তাহলেই সহজেই বুঝতে পারবেন কোথায় বেশি খরচ হচ্ছে, কোথায় খরচ কমানো উচিত। তাতে কিছু অহেতুক অর্থ ব্যয় থেকে বেঁচে যেতে পারেন।

কেনাকাটায় মৌসুম খেয়াল রাখুন:

এক কেজি টমেটো সিজনে ১০ টাকায়ও পাওয়া যায়, একই টমেটো অফ সিজনে কিনলে খরচ পড়বে ২০০ টাকার বেশি।

এভাবে সিজন অনুযায়ী কেনাকাটা করলে অনেকটা খরচ কমিয়ে আনতে পারবেন।

ধরেন- উৎসবে এলে অনেক পণ্যের দাম বেড়ে যায়। হাতে টাকা থাকলে এসব পণ্য এক সপ্তাহ আগে কিনে নিলেই আপনার বাজেট কিছুটা বেঁচে যেতে পারে।

বিকল্প ভাবুন:

জীবনে উৎসব-আনন্দের প্রয়োজন আছে। কিন্তু তাতে খরচ পড়ে যায় অনেক। তবে কিছু বিকল্প খুঁজে নিলে কমে যাবে বড় অংকের খরচ।

রিসোর্টে ঘুরতে যাওয়ার পরিবর্তে প্রাকৃতিক স্থান বেছে নিতে পারেন। বড় রেস্টুরেন্টের পরিবর্তে স্ট্রিট ্ফুড খেতে পারেন। সবসময় দূরে ঘুরতে না গিয়ে বাসার আশেপাশের সুন্দর স্থানগুলোতে যেতে পারেন।

টেকসই জিনিস কিনুন:

কম টাকায় সাধারণ জিনিস কেনা থেকে বিরত থাকুন। এসব পণ্য দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়। পরে তা মেরামত করতে কিংবা নতুন করে কিনতে গেলে আবার খরচের ধাক্কায় পড়তে হয়। সেজন্য এমন জিনিস কিনুন, যা লম্বা সময় সার্ভিস দিবে। তাহলে একই পণ্যের পিছনে বারবার খরচ করতে হবে না।

পাইকারি পণ্যের দোকান খুঁজুন:

গলির দোকান এড়িয়ে বড় দোকান থেকে পণ্য কিনুন। তাহলে খরচ কিছুটা কমে যাবে, কারণ এসব দোকানে কিছুটা ছাড় পেয়ে যাবেন।

অপচয় বন্ধ করুন:

মাসের খরচের একটা অংশ চলে যায় অপচয়ে। খাবার অপচয়, বিদুৎ অপচয়, গ্যাস অপচয়- নানাভাবে খরচ বাড়তেই থাকে। একটু মিতব্যয়ী হলে অনেক খাতেই একটু একটু করে খরচ কমে যাবে।

স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করুন:

স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করলে চিকিৎসা ও ঔষধের পিছনে খরচ কমে যাবে। স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করলে মাসের খরচ অন্যভাবেও কমে যেতে পারে।

যেমন- আপনি ফাস্টফুড খেতে যান, ধুমপান করেন, কোল্ড ড্রিংকস পান করেন; যা অস্বাস্থ্যকর। এসব খাবার আবার ব্যয়বহুলও, যার ফলে মাসে বড় রকমের খরচ হয়। এসব খরচ বাদ দিয়ে মৌসুমী ফল ও সবজির মত পণ্যের পিছনে ব্যয় বাড়ালে আপনার খরচও কমবে, আবার স্বাস্থ্যও ভাল থাকবে।