কাতার, মিশর এবং তুরস্কের নেতাদের সাথে গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সই করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এসময় ট্রাম্প মধ্যপ্রাচ্যে স্থায়ী শান্তির প্রতিশ্রুতি দেন।
ট্রাম্প গাজা যুদ্ধে ইসরাইলকে অস্ত্র সহায়তার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ইসরাইলে প্রচুর আধুনিক অস্ত্র দিয়েছে। যা গাজাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। তবুও তিনি দাবি করেন, এই যুদ্ধবিরতি মধ্যপ্রাচ্যে স্থায়ী শান্তির সূচনা করবে।
মধ্যপ্রাচ্য সফরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, আমার শান্তি পরিকল্পনা গাজা পুনর্গঠনের ওপর জোর দিবো। দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধান নিয়ে আমি অন্যান্য দেশগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে সঠিক সিদ্ধান্ত নেব। তিনি আরও জানান, যুদ্ধবিরতির পর এখন সময় এসেছে ‘গাজাকে স্থিতিশীল ও অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ অঞ্চলে রূপান্তরিত করার।’
কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি শারম আল-শেখ সম্মেলনের ‘ইতিবাচক ফলাফলে’ সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
তিনি বলেন, এই চুক্তি গাজার জনগণের দীর্ঘদিনের আকাঙ্ক্ষা পূরণের পথে সহায়ক হবে।
যুদ্ধ বন্ধে ট্রাম্পের ভূমিকার প্রশংসা করেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি ইসরাইল বন্দিদের মুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছেন এবং যুদ্ধ বন্ধে চুক্তির জন্য ট্রাম্প প্রশাসনের প্রশংসা করেছেন।
এদিকে, বন্দি বিনিময়ের অংশ হিসেবে ইসরাইল প্রায় ২,০০০ বন্দি ও আটক ব্যক্তিকে মুক্তি দেওয়ার পর ফিলিস্তিনি পরিবারগুলি গাজা এবং অধিকৃত পশ্চিম তীরে তাদের প্রিয়জনদের কাছে ফিরে গেছেন। এছাড়া প্রায় ১৫৪ জন বন্দিকে মিশরে নির্বাসিত করা হয়েছে।
তবে, গাজা যুদ্ধ বন্ধে চুক্তি কার্যকর হওয়ার পর ইসরাইলি কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়া বেশ কয়েকজন ফিলিস্তিনি বন্দি জানিয়েছেন, তারা দীর্ঘ সময় ধরে অনাহারে ও শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। একজন মুক্ত বন্দি ইসরাইলি কারাগারকে কসাইখানার সঙ্গে বর্ণনা করেছেন।
এছাড়া চুক্তি অনুযায়ী হামাস গাজায় আটক ২০ জন জীবিত ইসরাইলি জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে এবং আরও চারজনের মৃতদেহ হস্তান্তর করেছে।
