ফিফার দুই প্রীতি ম্যাচ খেলতে নেপালে গেছে বাংলাদেশ দল। নেপালের ঘরের মাঠ দশরথ রঙ্গশালা স্টেডিয়ামে প্রথম ম্যাচে জিততে পারেনি বাংলাদেশ ও নেপালের কেউ, হয়েছে গোলশূন্য ড্র। হামজা চৌধুরী, সামিত সোম বা ফাহমিদুলদের ছাড়া নিজের পরীক্ষা-নিরীক্ষা ভালো হয়েছে প্রধান কোচ হাভিয়ের ক্যাবরেরার।
ম্যাচ শুরু হওয়ার চতুর্থ মিনিটে প্রথম আক্রমণ করে নেপাল, যদিও কাঙ্খিত ফল পায়নি। ম্যাচের প্রথম কর্নার আসে নবম মিনিটে এবং সেটি আদায় করে নেয় বাংলাদেশ। সেই কর্নার থেকে বাংলাদেশের সুমন রেজা বল জালে পাঠালেও অফসাইডের ফাঁদে বাতিল হয়। এরপর আরও দুটি আক্রমণ করলেও খুব একটা সুবিধা আদায় করতে পারেনি বাংলাদেশ।
শুরু থেকে কিছুটা নড়বড়ে ছিল বাংলাদেশ দল। দীর্ঘদিন পর মাঠে নেমে খোলস ছাড়াতেও কিছুটা সময় লেগেছে জামাল ভূঁইয়ার সতীর্থদের। সময় গড়ানোর সাথে সাথে রাকিব হোসেন বা সুমন রেজাদের আক্রমণের ধার বাড়তে থাকে। সময়ের সাথে সাথে প্রথমার্ধে বেশ কিছু কর্নার আদায় করে নেয় বাংলাদেশ।
২৯ মিনিটের সময় প্রায় গোল হজম করে বসেছিল বাংলাদেশ। মাঝমাঠ থেকে ফ্রি কিক থেকে আসা বল হেড করেন নেপালের খেলোয়াড়। তবে বাংলাদেশের গোলকিপার সুজন হোসেন সেই বল ঠেকিয়ে দেন, এ যাত্রায় বেঁচে যায় লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। ৩৯ মিনিটে লং থ্রোতে আসা বল ডি বক্সের মধ্যে বল পান সুমন রেজা, তার নেয়া শট বাইরে দিয়ে চলে যায়। পরে গোলশূন্য ড্র’তে বিরতিতে যায় দুদল।
বিরতি থেকে ফেরার পর বেশ কিছু আক্রমণ করে নেপাল। তবে রক্ষণে তপু, সাদ উদ্দিন বা রহমত মিয়াদের কারণে কোনো সুবিধা করতে পারেনি নেপাল দল। ৬৮ মিনিটে নেপালের ভালো একটি শট আটকে দেন গোলকিপার সুজন। ৭২ মিনিটে লেফট উইং দিয়ে সুমনের ভালো একটি ক্রস রাকিব হেড দিলে বারের বাইরে দিয়ে বের হয়ে যায়।
পরে দু’দল আরও বেশ কিছু সুযোগ পেলেও হাতছাড়া করে। শেষ দিকে নেপাল কিছু আক্রমণ করলেও সহজেই তা প্রতিহত করেছে ক্যাবরেরার দল। পরে কোনো দল গোলের দেখা না পাওয়ায় ওই গোলশূন্য ড্র’তে প্রথম ম্যাচ শেষ হয়।
