কাশ্মীর হামলা: পাকিস্তানে ‘আক্রমণ চালাতে পারে’ ভারত

কাশ্মীরে জঙ্গি হামলা

কাশ্মীরের পেহেলগামে জঙ্গি হামলার পর ভারত জুড়ে পাকিস্তানবিরোধী সুর আবার মাথাচাড়া দিয়ে ওঠেছে।

বিশেষ করে বিজেপির নেতাকর্মীরা এই ঘটনার সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্কের দাবি করছে। তারা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ভারত সরকারের ওপর চাপ তৈরি করছে।

এ অবস্থায় ‘কিছু একটা’ যে ভারত সরকারকে করতে হবে, পরিস্থিতি সেদিকেই যাচ্ছে। ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইতোমধ্যে কড়া জবাব দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

তবে বিশ্লেষকরা সতর্ক করে বলছেন, ভারত-পাকিস্তান উভয়ই পরমানু শক্তিধর হওয়ায় যেকোন পদক্ষেপই ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। দুটি দেশ যাতে যুদ্ধে জড়িয়ে না পরে, সেদিকে নজর রাখতে বলেছেন তারা।

এখন মোদি সরকারের সামনে কি করার আছে, তা নিয়ে বিবিসিসহ অন্যান্য গণমাধ্যমে মতামত দিয়েছেন রাজনৈতিক ও সামরিক বিশ্লেষকরা।

কাশ্মীর হামলার জবাবে ভারত পাকিস্তানে আক্রমণ চালাতে পারে, এমন বার্তাই দিচ্ছেন তারা।

তাদের ধারণা, ভারতীয় সেনাবাহিনী পাকিস্তানের অভ্যন্তরে সীমিত আকারে কৌশলগত অভিযান চালাতে পারে।

সাম্প্রতিক অতীতে পাকিস্তান সীমান্তে আক্রান্ত হলে ভারতকে সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের মত অভিযান চালাতে দেখা গেছে।

এবার ভারতীয় সেনা এ ধরণের তৎপরতা বাড়াতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। অর্থাৎ পাকিস্তানের আরও ভিতরে ঢুকে সন্দেহভাজন জঙ্গি আস্তানাগুলোতে হামলা চালানো হতে পারে।

এসব কার্যক্রমের ঝুঁকিও স্মরণ করিয়ে দিচ্ছেন বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, ভারত-পাকিস্তানের সম্পর্ক ঐতিহাসিকভাবে বৈরিতার। ফলে সীমান্তে যে কোন ধরণের অভিযান দুটো দেশকে যুদ্ধে জড়িয়ে ফেলতে পারে।

ভারত-পাকিস্তান যে পরমানু শক্তিধর দেশ তা মনে করিয়ে দিয়ে তারা বলছেন, পাকিস্তানে আক্রমণ চালানো ভারতের জন্য সবসময়ই স্পর্শকাতর। কোন ভুল সিদ্ধান্ত উভয় দেশের মানুষের জন্য বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।

তাই ভারত সরকারকে সতর্ক পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।

অবশ্য ভারতের কেউ কেউ কাশ্মীর হামলার পিছনে বিজেপির স্বার্থ থাকতে পারে বলে ধারণা করছেন।

এই পক্ষের দাবি- বিতর্কিত ওয়াকফ বিলের বিরুদ্ধে মুসলিমরা যখন আন্দোলন করছে তখন পরিকল্পিতভাবে এই জঙ্গি হামলার ঘটনা সাজানো হয়েছে।

কাশ্মীর হামলায় এ পর্যন্ত অন্তত ২৬ জন পর্যটকের মৃত্যুর খবর এসেছে।