স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতৃত্ব দেয়া আওয়ামী লীগের কার্যক্রম বাংলাদেশে নিষিদ্ধ

বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে যে দলটি নেতৃত্ব দিয়েছিল, সেই আওয়ামী লীগের কার্যক্রম দেশটিতে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়াকে দেশটির সাড়ে পাঁচ দশকের রাজনৈতিক ইতিহাসের সবচেয়ে স্পর্শকাতর ঘটনাগুলোর একটি হিসেবে দেখা হচ্ছে।

এর প্রতিক্রিয়া হিসেবে বাংলাদেশের জনগনের সামনে কি অপেক্ষা করছে, তা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে।

আওয়ামী লীগের কার্যক্রম যেভাবে নিষিদ্ধ হলো

বাংলাদেশের ৫৪ বছরের ইতিহাসে ২৫ বছরই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ছিল।

সবশেষ টানা চতুর্থ মেয়াদে দলটি সরকার গঠনের পর ২০২৪ সালের জুলাইয়ে ছাত্র আন্দোলনের মুখে পড়ে।

ব্যাপক প্রাণহানির মধ্যে আগস্টে আন্দোলন তীব্র হলে সরকারের পতন হয়।

এরপর থেকেই আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ তুলে দলটিকে নিষিদ্ধের দাবি জানিয়ে আসছিল একটি পক্ষ।

২০২৫ সালের মে মাসের ২য় সপ্তাহের শুরুতে এই দাবিতে ঢাকার শাহবাহসহ কয়েকটি স্থানে কর্মসূচি পালিত হয়।

শনিবার আওয়ামী লীগকে ১ ঘণ্টার মধ্যে নিষিদ্ধের আল্টিমেটাম দেন হাসনাত আব্দুল্লাহ, যিনি ছাত্র আন্দোলনের পর এখন রাজনৈতিক দল এনসিপিতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।

এর মধ্যেই রাতে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার উপদেষ্টা পরিষদের জরুরি বৈঠক ডেকে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত নেয়।

পরে উপদেষ্টা পরিষদের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “বৈঠকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও তার নেতাদের বিচারকার্য সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা, জুলাই আন্দোলনের নেতাকর্মীদের নিরাপত্তা এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বাদী ও সাক্ষীদের সুরক্ষার জন্য সন্ত্রাস বিরোধী আইনের অধীনে সাইবার স্পেস-সহ আওয়ামী লীগ এর যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।”

এর ফলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল কোনও রাজনৈতিক দল, তার অঙ্গসংগঠন বা সমর্থক গোষ্ঠীকে শাস্তি দিতে পারবে।