নেপালে কারফিউ অমান্য করে মঙ্গলবারও তরুণরা রাজধানী কাঠমান্ডুসহ বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভে নেমেছেন। নিউবানেশ্বর, কালাঙ্কি, চাপাগাঁওসহ নানা এলাকায় সকাল থেকেই তারা প্রতিবাদে অংশ নেন।
এর আগে সোমবারের জেন জি বিক্ষোভে পুলিশের দমন-পীড়নে অন্তত ১৯ জন নিহত হন। গুরুতর আহত হন চার শতাধিক মানুষ।
প্রাণঘাতি এ সংঘর্ষের পর দেশজুড়ে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। তরুণরা সরকারের দমননীতি ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে রাস্তায় নামে। মঙ্গলবার সকালেও তারা ফেডারেল পার্লামেন্ট ভবনের সামনে জড়ো হয়। এ সময় পুলিশ কয়েকজনকে আটক করে।
সরকারি দমননীতির বিরুদ্ধে দাঁড়ানো এসব তরুণের হাতে কোনো ব্যানার বা পোস্টার দেখা যায় নি।
সংসদ ভবনের সামনে বিক্ষোভে অংশ নেয়া একজন তরুণ বলেন, “গতকালের ঘটনা সরকারের ভয়াবহ ব্যর্থতা প্রমাণ করেছে। আমি আজ এখানে এসেছি তরুণদের পাশে দাঁড়াতে।”
প্রশাসন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে মঙ্গলবার ভোর থেকেই রাজধানীসহ ললিতপুর ও ভক্তপুর জেলায় কড়া কারফিউ জারি করে।
এসব বিধিনিষেধ উপেক্ষা করেই তরুণরা নিউবানেশ্বর এলাকায় পার্লামেন্ট ভবনের কাছে সমবেত হয় এবং বিক্ষোভ চালিয়ে যায়।
সোমবারের ঘটনায় দেশের রাজনৈতিক মহলেও তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। ক্ষমতাসীন ও বিরোধী দলের শীর্ষ নেতারা সরকারের ভূমিকার কঠোর সমালোচনা করেছেন।
তাদের মতে, ১৯ জনের প্রাণহানি স্পষ্ট করে দিয়েছে সরকারের দমনমূলক নীতি কতটা ভয়াবহ রূপ নিয়েছে।
