ফুরালো ৩৫ বছরের অপেক্ষা, রাকসুতে চলছে ভোটগ্রহণ

সাজিদুর রহমান সাজিদ, রাবি প্রতিনিধি

বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু অ্যাকাডেমিক ভবনের ভোটকেন্দ্রের স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স সিলগালা করা হয় সকাল ৮টা ৩৪ মিনিটে। সকাল ৯টায়ও এই কেন্দ্রে কাউকে লাইনে দাঁড়াতে দেখা যায়নি।

পাশের জাবির ইবনে হাইয়ান একাডেমিক ভবনের ভোটকেন্দ্রে ব্যালট বাক্স সিলগালা করা হয় ৮টা ৫৫ মিনিটে। তবে সকাল পৌনে ৯টা থেকেই শিক্ষার্থীরা লাইনে দাঁড়াতে থাকেন। সবকিছু প্রস্তুত না থাকায় সকাল ৯টা ১০ মিনিটে শুরু হয় ভোট।

সকাল ৮টা ৫০ মিনিটে ভোটকেন্দ্র জাবির ইবনে হাইয়ান অ্যাকাডেমিক ভবনের সামনে লাইনে দাঁড়িছিলেন ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী সুমন মিয়া।

বাংলা ইনসাইট টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “এটাই আমার জীবনের প্রথম ভোট। উৎসবমুখর পরিবেশের মধ্য দিয়ে ভোট দিতে যাচ্ছি, খুবই ভালো লাগছে।”

পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী স্বপ্নীল তালুকদারও জানালেন, জীবনের এটিই প্রথম ভোট।

“এখনো শিক্ষার্থীরা তেমন আসেনি। আশা করছি, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোটগ্রহণ হবে।”

এই ভোটকেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার ড. মোতাহার হোসেন বলেন, “নয়টায় ভোট শুরু হওয়ার কথা থাকলেও ১০ মিনিট পর ভোট শুরু হচ্ছে। আশা করছি, শান্তিপূর্ণভাবেই ভোট গ্রহণ হবে।”

দীর্ঘ ৩৫ বছর পর বৃহস্পতিবার রাকসু, হল সংসদ ও সিনেট ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

ভোটগ্রহণকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রেণে কাজ করছে দুই হাজারের বেশি পুলিশ, ৬ প্লাটুন বিজিবি এবং ১২ প্লাটুন র‌্যাব। রাকসু নির্বাচনে ১০টি প্যানেল ও বিভিন্ন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা অংশ নিচ্ছেন।

রাকসুর ২৩টি পদের বিপরীতে ২৪৭ জন, সিনেট ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনের ৫টি পদে ৫৮ জন, প্রতিটি হল সংসদের ১৫টি করে পদে ১৭টি হলে ৫৯৭ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

একজন ভোটার ৪৩টি পদে ভোট দিতে সময় পাবেন ১০ মিনিট। অর্থাৎ একজন ভোটার একটি ভোট দিতে প্রায় ১৪ সেকেন্ডে সময় পাবেন।

রাকসুতে ভিপি পদে ১৮ জন, জিএস পদে ১৩ জন ও এজিএস পদে ১৬ জন প্রার্থী লড়াই করছেন। নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ২৮ হাজার ৯০১। এর মধ্যে ছাত্র ভোটার ১৭ হাজার ৫৯৬ জন ও ছাত্রী ভোটার ১১ হাজার ৩০৫ জন।