ইউক্রেন যুদ্ধ: রাশিয়ার ২ তেল কোম্পানির ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা

বিশেষ প্রতিনিধি

ইউক্রেনে যুদ্ধ থামাতে রাশিয়ার দুটি বৃহত্তম তেল কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ইউক্রেন ইস্যুতে বৈঠক স্থগিত করার একদিন পর এই নিষেধাজ্ঞা দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

যুদ্ধ বন্ধে মস্কোর ওপর চাপ বাড়াতে রুশ তেল কোম্পানি রোজনেফ্ট ও লুকোয়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন তিনি।

বুধবার সামরিক জোট ন্যাটোর মহাসচিব মার্ক রুটের সঙ্গে বৈঠকের পর ট্রাম্প আশা প্রকাশ করেছেন যে, নতুন নিষেধাজ্ঞার ফলে ইউক্রেন শান্তিচুক্তিতে অগ্রগতি আসতে পারে।

মস্কো যুদ্ধ বন্ধ করলে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন ট্রাম্প।

ইউক্রেন শান্তি আলোচনা কোন পথে?

ডোনাল্ড ট্রাম্পের তৎপরতায় শান্তি চুক্তির মাধ্যমে গাজায় যুদ্ধ বন্ধ হলেও ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধে কোন অগ্রগতি আসেনি।

ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ট্রাম্পের প্রথম দফার বৈঠকে কিয়েভে হামলা বন্ধে মস্কোর সাড়া মেলেনি। বুদাপেস্টে দ্বিতীয় দফা বৈটক হওয়ার কথা থাকলেও তা স্থগিত করে দেন ট্রাম্প।

    আরও পড়ুন: পুতিনের সঙ্গে ‘অর্থহীন বৈঠক’ চাই না: ট্রাম্প

জবাবে বুধবার ইউক্রেনে ব্যাপক হামলা চালায় রাশিয়া। এতে শিশুসহ ৭ জন মারা যান।

একইদিন যুক্তরাষ্ট্র নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার পর ইউক্রেন শান্তি আলোচনা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

ডোনাল্ড ট্রাম্প এর জন্য বরাবরই পুতিনকে দায়ী করে আসছেন। পুতিনের সঙ্গে বৈঠককে অর্থহীন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

বুধবার মার্ক রুটের সঙ্গে বৈঠকে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, “পুতিনের সঙ্গে আমার সুন্দর আলোচনা হয়। কিন্তু এটা কোনদিকে আগায় না।”

পুতিন যুদ্ধ বন্ধে আগ্রহী নন মন্তব্য করলেও মার্কিন প্রেসিডেন্টের আশা, নিষেধাজ্ঞা মস্কোর অবস্থানে পরিবর্তন আনতে পারে।

নিষেধাজ্ঞা কতটা কাজে আসবে?

মার্কিনীদের আশা, রুশ জ্বালানি সরবরাহে চাপ তৈরি করতে পারলে ক্রেমলিন যুদ্ধ থেকে সরে আসতে পারে। কারণ রাশিয়ার অর্থনীতি দাঁড়িয়ে আছে তেল-গ্যাস রপ্তানির ওপর।

যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট বুধবার এক বিবৃতিতে বলেছেন, নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসা তেল কোম্পানি দুটি মস্কোর যুদ্ধ ব্যয়ের জোগান দিচ্ছে।

ফলে ‘অর্থহীন’ যুদ্ধ বন্ধে পুতিনের ‘অস্বীকৃতির’ জবাবে এই নিষেধাজ্ঞা কাজে আসবে বলে আশা করছেন তিনি।