১৫ পাক সেনা হত্যার দাবি তালেবানের

সীমান্তে মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাতে পাকিস্তানের ১৫ সেনা সদস্যকে হত্যার দাবি করেছে আফগানিস্তানের তালেবান সরকার।

পাকিস্তানও তালেবানের ডজনখানেক যোদ্ধাকে হত্যা ও ১৯টি সেনা চৌকি ধ্বংসের দাবি করেছে।

দুই দেশের সম্পর্কের টানাপোড়েন শনিবার গভীর রাতে সীমান্তে সংঘাতে রূপ নেয়। পাক-আফগান সীমান্তের পাঁচটি এলাকায় সেনা সদস্যরা ব্যাপক গুলি বিনিময় করে।

আফগানিস্তানের হেলমান্দ প্রদেশ সরকারের মুখপাত্র কাসিম রিয়াজ দাবি করেছেন, বহরামপুর জেলার ডুরান্ড লাইনের পাশে তালেবানের হামলায় ১৫ পাকিস্তানি সেনা নিহত হয়েছেন।

এছাড়া পাকিস্তানের ৩টি সেনা চৌকি ও যুদ্ধাস্ত্র দখলে নেওয়ার দাবিও করেছেন তিনি।

অন্যদিকে পাকিস্তানের নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম পিটিভি নিউজ জানিয়েছে, পাকিস্তান তালেবানের ১৯টি সীমান্ত চৌকি দখল করেছে।

এসব চৌকিতে থাকা ডজনখানেক তালেবান যোদ্ধা নিহত হয়েছে এবং বাকিরা পালিয়ে গেছে বলে দাবি করেছেন পাকিস্তানের সেনা কর্মকর্তারা।

রেডিও পাকিস্তান সেনা সূত্রের বরাতে জানিয়েছে, যেসব সশস্ত্র গোষ্ঠী আফগান সীমান্ত থেকে পাকিস্তানে হামলা চালাচ্ছে, তাদের কয়েকটি ক্যাম্প ধ্বংস করে দিয়েছে পাক সেনারা।

পাকিস্তানি বাহিনী তালেবানের যেকোন ধরণের তৎপরতার বিরুদ্ধে কড়া জবাব দিতে প্রস্তুত রয়েছে বলেও সতর্ক করেছেন কর্মকর্তারা।

তালেবান আফগানিস্তানের ক্ষমতা নেয়ার পর থেকেই পাকিস্তান সীমান্তে সন্ত্রাসী হামলা বেড়েছে। এসব ঘটনার জন্য তালেবানকে দায়ী করে আসছে পাকিস্তান।

গত বৃহস্পতিবার আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলসহ কয়েকটি স্থানে বিস্ফোরণের আওয়াজ শোনা যায়। তালেবান এর জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করে কড়া জবাবের হুঁশিয়ারি দিয়েছিল।

এর মধ্যেই শনিবার রাতে তালেবান বাহিনী হামলা চালায় পাকিস্তান সীমান্তে।

আফগানিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এনায়েত খোয়ারজম তাদের হামলাকে সফল দাবি করে বলেছেন, পাকিস্তান আফগানিস্তানের সার্বভৌমত্ব লংঘন করলে কঠিন জবাব দিবর তালেবান।