রাকসু নির্বাচন: অমোচনীয় কালি মুছে যাওয়া নিয়ে বিতর্ক

সাজিদুর রহমান সাজিদ, রাবি প্রতিনিধি:
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ, হল সংসদ ও সিনেটে ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছে। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ চললেও ভোটদাতা শনাক্তকরণ কালি মুছে যাওয়া নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।

জালিয়াতি এড়াতে ভোটারদের হাতে দেওয়া অমোচনীয় কালির দাগ উঠে যাচ্ছে ঘষা দিলেই। বৃহস্পতিবার অন্তত দশটি কেন্দ্রে ঘুরে বিষয়টির সত্যতা পাওয়া গেছে।

তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব দাবি করেছেন, কালি মুছে গেলেও সমস্যা হবে না।

কারণ হিসেবে তার যুক্তি, ভোটার শনাক্তকরণের আরও কিছু পদ্ধতি অনুসরণ করায়, কেবল কালি কালি মুছে গেলেই দ্বিতীয়বার ভোট দিতে পারবেন না কেউ।

সরেজমিনে দেখা যায়, শিবির সমর্থিত সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোটের নারী বিষয়ক সম্পাদক সাইয়েদা হাফসা ভোট প্রদান করতে কেন্দ্র যান। কেন্দ্র থেকে বের হয়ে সাংবাদিকের ক্যামেরার সামনে হাতে দেওয়া অমোচনীয় কালির দাগে ঘষা দেন তিনি। ঘষা দিতেই তার হাতের দাগ অস্পষ্ট হয়ে যায়।

শুধু তার নয় এমন পরিস্থিতি দেখা গেছে ডিনস কমপ্লেক্স কেন্দ্র, শহিদুল্লাহ কেন্দ্র, চতুর্থ বিজ্ঞান ভবন কেন্দ্রসহ সকল কেন্দ্রে।

এ বিষয়ে সাইয়েদা হাফসা বাংলা ইনসাইট টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এটা তো মুছে যাওয়া উচিত হয়নি। আমরা দ্রুত বিষয়টির সমাধান চাই।”

তার মতো আরও অন্তত ১০ জনের সঙ্গে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। তারা জানান, কেন্দ্র থেকে বের হয়েই দেখেন হাতের কলির দাগ উঠে যাচ্ছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান রিটর্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক সেতাউর রহমান বলেন, “আমরা দেশের বাজারের সর্বোচ্চ দামের কালির কলম কিনেছি। এরপরেও যদি উঠে যায় তবুও সমস্যা হবে না। আমরা ভোট কেন্দ্রে ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা দেখে পরিচয় নিশ্চিত করে ভোট নিচ্ছি।

“নারী শিক্ষার্থীদের যারা নেকাব ব্যবহার করেন তাদের জন্যেও আলাদা করে তাদের চেকিংয়ের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে আমাদের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছে। আশা করছি কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরী হবে না।”

এবারের রাকসুতে মোট ২৮ হাজার ৯০১ জন ভোটার ভোট দিবেন। নির্বাচনে মোট ৮৬০ জন প্রার্থী রয়েছে। এ ছাড়াও সিনেটে ছাত্র প্রতিনিধি ৫ পদে মোট ৫৮ জন প্রার্থী লড়ছেন।

সকাল ৯ টা থেকে শুরু হওয়া ভোট বিকেল ৪টা পর্যন্ত ৯টি একাডেমিক ভবনে স্থাপিত ১৭টি ভোটকেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।