সাজিদুর রহমান সাজিদ, রাবি প্রতিনিধি
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় আবার পোষ্য কোটা চালু করার দাবিতে অবস্থান ধর্মঘট পালন করেছেন শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
দ্রুত দাবি মানা না হলে আরও কঠোর কর্মসূচিতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।
অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মত রাবিতেও শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সন্তানরা বহু বছর ধরে ভর্তিতে কোটা সুবিধা পেয়েছেন; যা এখন বাতিল করে দেয়া হয়েছে।
আগামী শিক্ষাবর্ষের স্নাতক ভর্তি কার্যক্রম শুরু হওয়ার আগেই আগের কোটা সুবিধা ফেরানোর দাবিতে সরব হয়েছেন শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীরা।
বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান ধর্মঘটে শতাধিক শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী অংশ নেন।
সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত চলা কর্মবিরতিতে বেশকিছু বিভাগে পরীক্ষা ছাড়া সকল কার্যক্রম স্থগিত থাকে।
নিজেদের দাবির পক্ষে যুক্তি তুলে মনোবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এনামুল হক দাবি করেন, পৃথিবীর সব দেশেই প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধার বিধান চালু রয়েছে।
“বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল স্টেকহোল্ডার শিক্ষার্থীরা, আর শিক্ষক ও কর্মকর্তারা তাদের সেবা প্রদান করে থাকেন। আমি যেহেতু সেবক, আমার স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তাসহ সবকিছুর দায়িত্ব সরকারকে নিতে হবে। এটা সহজ বিষয়, এখানে না বোঝার কিছু নেই”, বলেন অধ্যাপক এনামুল।
রাবিতে পোষ্য কোটা বাতিল করাকে বৈষম্য হিসেবে দেখছেন উর্দু বিভাগের অধ্যাপক আতোয়ার রহমান।
তার প্রশ্ন, “দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে এ সুবিধা বিদ্যমান থাকলেও আমরা কেন বঞ্চিত হবো?”
এক সপ্তাহের মধ্যে দাবি না মানলে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে সর্বাত্মক ধর্মঘটে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেন এই অধ্যাপক।
কর্মসূচিতে ক্রপ সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক নুরুল ইসলাম বলেন, “রাত ১০টার মধ্যে জরুরি সিন্ডিকেট ডেকে আগে যেটা ছিল (পোষ্য কোটা) ঐটা ফিরিয়ে আনতে হবে।”
