‘সন্ত্রাসী’ আম্মার রাবিকে অস্থিতিশীল করার নীলনকশা নিয়েছে: অধ্যাপক জাহাঙ্গীর

রাবি প্রতিনিধি:

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সমন্বয়ক সালাহউদ্দিন আম্মারকে ‘সন্ত্রাসী’ আখ্যা দিয়ে তার বিরুদ্ধে ক্যাম্পাস অস্থিতিশীল করার অভিযোগ এনেছেন অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম।

ফোকলোর বিভাগের এই অধ্যাপক ইউনির্ভাসিটি টিচার্চ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক।

পোষ্য কোটা নিয়ে রাবিতে চলমান উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যে অধ্যাপক জাহাঙ্গীর কয়েকজন শিক্ষার্থীর বহিস্কার ও সনদ বাতিলের দাবি তুলেছেন।

বিতর্কিত এই কোটা ঘিরে শিক্ষক-কর্মকর্তাদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের ধ্বস্তাধস্তিতে সালাহউদ্দিন আম্মারকেও দেখা যায়।

এর আগে পোষ্য কোটা বিরোধী আন্দোলনের নেতৃত্বেও ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক এই সমন্বয়ক।

ধ্বস্তাধস্তির ঘটনায় দুই পক্ষই পরস্পরকে দায় দিয়ে আসছে।

এর মধ্যে উপ-উপাচার্যসহ শিক্ষকদের লাঞ্ছিত করার অভিযোগে শিক্ষক, কর্মকর্তারা ক্লাস-পরীক্ষা ও প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ রেখে কর্মবিরতি পালন করছেন।

সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে মানববন্ধনেও দাঁড়ান তারা। সেখানে শিক্ষক-কর্মকর্তারা শনিবারের ঘটনাকে রাবির ইতিহাসে নজিরবিহীন উল্লেখ করে, এর বিচার না হওয়া পর্যন্ত নিজেদের অবস্থান থেকে সরে না দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন।

মানববন্ধনে অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “সালাহউদ্দিন আম্মার এবং তার সহযোগীরা এই বিশ্ববিদ্যালয়কে অস্থিতিশীল করার নীলনকশা নিয়ে মাঠে নেমেছে। এই আম্মার এমন এক বেয়াদব এবং সন্ত্রাসী যে হাতে পিস্তল নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছবি পোস্ট করে।

“শনিবার এই সন্ত্রাসীরা শিক্ষকদের যেভাবে লাঞ্ছিত করেছে, আমরা যদি এর সুষ্ঠু বিচার না করতে পারি; তাহলে ভবিষ্যতে আমাদেরও এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে।”

জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “চিহ্নিত এই সন্ত্রাসীদের স্থায়ী বহিষ্কার এবং যাদের ছাত্রত্ব শেষ হয়েছে তাদের সনদ বাতিল করতে হবে। এছাড়াও যারা রাকসু নির্বাচনে প্রার্থী আছে তাদের প্রার্থীতা বাতিল করতে হবে।”

শাট ডাউন কর্মসূচি

শিক্ষকদের লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদ এবং প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা প্রদানের সিদ্ধান্ত পুনর্বহালের দাবিতে সোমবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস-পরীক্ষা এবং প্রশাসনিক সকল কার্যক্রম বন্ধ থাকে।

ক্যাম্পাস ঘুরে দেখা গেছে, সকাল থেকেই ক্যাম্পাস বেশ ফাকাঁ, শিক্ষার্থীদের আনাগোনা নেই বললেই চলে।

এর আগে রোববার পোষ্য কোটা নিয়ে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে জরুরী সিন্ডিকেট মিটিং শেষে পোষ্য কোটা স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসন।

সেই সাথে গত শনিবারের ঘটনায় ৫ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে কর্তৃপক্ষ।

তবে এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে কমপ্লিট শাট ডাউন ঘোষণা করে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।