বাংলাদেশের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল দাবি করেছেন, দেশটির রাষ্ট্রপতি কখনোই স্বাধীনভাবে প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দিতে পারেননি।
বাংলাদেশের সংবিধান রাষ্ট্রপতিকে প্রধান বিচারপতি নিয়োগের ক্ষমতা দিয়েছে।
আসিফ নজরুলের দাবি, রাষ্ট্রপতি এই ক্ষমতার প্রয়োগ করেছেন প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শে।
শনিবার ঢাকায় মানবাধিকার কমিশন অধ্যাদেশ বিষয়ে জাতীয় পরামর্শ সভায় এ দাবি করেন তিনি।
এ সময় বিচারকদের কর্মকাণ্ড নিয়েও সমালোচনা করতে দেখা যায় আইন উপদেষ্টাকে।
তিনি বলেন, “প্রধান বিচারপতিসহ অনেক বিচারপতি গণতন্ত্র ধ্বংসের নেতৃত্ব দিয়েছেন। তাদের অনেকের বিচার করা যায়নি।”
পরবর্তী সরকার এই বিষয়ে পদক্ষেপ নিবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন আইন উপদেষ্টা।
বাংলাদেশের সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।
এটিই দক্ষিণ এশিয়ার দেশটিতে প্রথম কোন প্রধান বিচারপতির বিচারের মুখোমুখি হওয়ার ঘটনা।
বাংলাদেশে গেল বছরের আগস্টে রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর ক্ষমতা নেয় অন্তর্বর্তী সরকার।
এই প্রক্রিয়ায় নেতৃত্ব দেয়া শিক্ষার্থীদের মূল অংশ পরে এনসিপি নামে রাজনৈতিক দল গঠন করে।
দলটি সম্প্রতি সরকারের উপদেষ্টাদের ব্যাপক সমালোচনা করে বলছে, উপদেষ্টাদের অনেকেই সেইফ এক্সিটের পথ খুঁজছেন।
আরও পড়ুন: মৃত্যু ছাড়া উপদেষ্টাদের সেইফ এক্সিট নেই
এসব বক্তব্য এমন সময়ে আসছে যখন বাংলাদেশে পাঁচ মাসের মধ্যে জাতীয় নির্বাচনের আশা করা হচ্ছে।
জাতীয় পরামর্শ সভায় আসিফ নজরুলকে উপদেস্টাদের দিকে আসা সেইফ এক্সিটের অভিযোগ বিষয়েও কথা বলতে দেখা যায়।
আইন উপদেষ্টা বলেন, “উপদেষ্টাদের সেইফ এক্সিটের দরকার নেই। তবে অনিয়ম, দুর্নীতি ও ভয়াবহ রাষ্ট্রকাঠামো থেকে জাতির সেইফ এক্সিট দরকার।”
অনুষ্ঠানে সরকারের আরেক উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যার মত বিষয় ঠেকাতে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করার ওপর জোর দেন।
