আলিপুরদুয়ারে দুই বাংলাকে কি বার্তা দিবেন মোদি?

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আলিপুরদুয়ারের জনসভা ঘিরে ইতোমধ্যে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য রাজনীতি সরগরম হয়ে ওঠেছে।

বৃহস্পতিবারের বক্তব্যের আঁচ কি প্রতিবেশী বাংলাদেশে গিয়েও পড়বে? এমন জল্পনাও চলছে।

মোদির এই সভা এমন সময়ে হচ্ছে, যার ১ বছর পরই পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

ফলে রাজ্য রাজনীতির জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রীর এই সফর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

কারণ, বাংলা দখল করতে বিজেপি বরাবরই মরিয়া লড়াই করে আসছে। তৃণমূলের দুর্গ ভেঙে দিতে নরেন্দ্র মোদির এই সফর যে ভোটমুখী হতে যাচ্ছে, তার আঁচ পাওয়া যাচ্ছে আগে থেকেই।

জনসভায় আসার আগের দিনই এক্স হ্যান্ডেলে তৃণমূল কংগ্রেসকে নিশানা করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।

জনসভায় যে তিনি রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলেন দুর্নীতি নিয়ে সরব হবেন, সে ইঙ্গিত তিনি সেখানে দিয়ে রেখেছেন।

বিজেপি সূত্র বলছে, ভোটারদের আস্থা তৈরি হয়, এমন কোন প্রতিশ্রুতি প্রধানমন্ত্রী দিয়ে যেতে পারেন। আর প্রতিপক্ষকে পিছনে ঠেলে দিতে তাদের দুর্বলতা তুলে ধরার পুরনো অস্ত্রেও শান দিতে ভুলবেন না তিনি।

বাংলাদেশকে নিশানা করতে পারেন মোদি?

বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের বর্তমান সম্পর্ক নজিরবিহীন বাজে অবস্থায় রয়েছে। বাংলাদেশে ভারতবিরোধী সুর চড়ার পাশাপাশি দেশটির সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকেও সেভেন সিস্টার্স নিয়ে স্পর্শকাতর বক্তব্য আসছে।

এই ফাঁকে ভারতের চিকেন নেক নিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতিতে ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে।

আর নরেন্দ্র মোদির সভা হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ সীমান্ত ও চিকেন নেকের গা ঘেঁষেই।

এছাড়া বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত নিয়মিতই অস্থির হয়ে ওঠছে। ভারতের বিরুদ্ধে অভিযোগ, দেশটি তার মুসলিম নাগরিকদের সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশের ভিতর ঠেলে দিচ্ছে।

অন্যদিকে ভারত দাবি করছে, বাংলাদেশ থেকে অনেকে অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশ করছে।

এই অবস্থায় মোদির জনসভায় বাংলাদেশ প্রসঙ্গও ঢুকে পড়তে পারে, বলছেন বিজেপি নেতারা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিজেপির পশ্চিমবঙ্গের একজন নেতা বলেন, প্রধানমন্ত্রী কি বলবেন, তা একান্ত তিনিই জানেন।

“তবে আমরা আশা করি সরাসরি কিংবা কূটনৈতিকভাবে তিনি বাংলাদেশকে জবাব দিবেন। চিকেন নেক বা সেভেন সিস্টার্স নিয়ে তার বলার থাকতে পারে। সীমান্তের অনুপ্রবেশ নিয়ে বলতে পারেন।”