ইসরায়েলের বিমান হামলায় ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের স্বঘোষিত প্রধানমন্ত্রী আহমেদ গালেব নাসের আল-রাহাবি নিহত হয়েছেন।
হুতিদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, গত বৃহস্পতিবার ইয়েমেনের রাজধানী সানায় ইসরায়েলি বিমানবাহিনী এক সভাস্থলে হামলা চালালে রাহাবি ও আরও কয়েকজন শীর্ষ নেতা নিহত হন।
এর আগে ইসরায়েল দাবি করেছিল, ওই হামলায় রাহাবি ও হুতিদের একাধিক উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাকে “নিষ্ক্রিয়” করা হয়েছে।
সৌদি আরবভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-হাদাথ দাবি করেছে, নিহতদের মধ্যে হুতিদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, বিচারমন্ত্রী, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী, সমাজকল্যাণ মন্ত্রী এবং শ্রমমন্ত্রীও রয়েছেন।
তবে হুতিদের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে অন্যদের নাম প্রকাশ করা হয়নি।
হুতিদের প্রেসিডেন্ট মাহদি আল-মাশাতের কার্যালয় জানিয়েছে, আরও কয়েকজন মন্ত্রী হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন।
আহতদের মধ্যে হুতিদের উপপ্রধানমন্ত্রী মুহাম্মদ আহমেদ মিফতাহ দায়িত্বভার নিয়ে নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কাজ শুরু করবেন।
রাহাবি ২০২৪ সালের আগস্টে বিদ্রোহী গোষ্ঠীটির প্রধানমন্ত্রীর পদে দায়িত্ব নেন।
যদিও তাকে মূলত প্রতীকী নেতা হিসেবেই দেখা হতো, সামরিক কর্মকাণ্ডে তার সরাসরি ভূমিকা ছিল না।
হুতিদের সর্বোচ্চ নেতা আবদুল-মালিক আল-হুতি, প্রতিরক্ষামন্ত্রী বা সেনাপ্রধান এই হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হননি।
তেল আবিব জানিয়েছে, হামলার কয়েক ঘণ্টা আগে তারা ওই বৈঠকের সঠিক গোয়েন্দা তথ্য পেয়েছিল এবং হামলা চালায়। তবে ক্ষয়ক্ষতির পূর্ণ হিসাব এখনো যাচাই চলছে।
২০১৪ সালে রাজধানী সানা দখলের পর থেকে হুতিরা ইয়েমেনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের বড় অংশ নিয়ন্ত্রণ করছে। এরপর থেকে দেশটিতে ভয়াবহ গৃহযুদ্ধ চলছে।
গাজায় হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে হুতিরা নিয়মিতভাবে ইসরায়েলের দিকে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করছে এবং লোহিত সাগর ও এডেন উপসাগরে বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা চালাচ্ছে।
পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েল হুতি-নিয়ন্ত্রিত এলাকায় একের পর এক বিমান হামলা চালাচ্ছে।
