ইউটিউব এখন তরুণদের ইনকামের বড় প্লাটফর্ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু এই আয় হালাল নাকি হারাম তা নিয়ে অনেকে সন্দিহান।
ইউটিউবের আয় কতটা জায়েজ- তা নিয়েই আজকের আয়োজন।
ইউটিউবের মূল ইনকাম মূলত বিজ্ঞাপন। এই বিজ্ঞাপনের ধরণটা বুঝলেই ইউটিউবের হালাল, হারাম বিষয়টি বুঝে যাবেন।
ইউটিউবের আয় যখন হারাম হতে পারে
কিছু ক্ষেত্রে ইউটিউবের আয় হারাম হতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে-
হারাম বিজ্ঞাপন:
ইউটিউবের ইনকাম জায়েজ হতে প্রধান সমস্যা হলো চ্যানেলে প্রদর্শিত বিজ্ঞাপনগুলো। এসব বিজ্ঞাপনে যদি থাকে-
সঙ্গীত
অশালীন পোশাক পরা নারী
হারাম পণ্য (যেমন- অ্যালকোহল, শূকরের মাংস)
অশ্লীলতা বা অন্য কোনো হারাম বিষয়বস্তু- তাহলে সে বিজ্ঞাপনের আয় হারাম হয়ে যাবে, মনে করেন ইসলামী চিন্তাবিদরা।
কারণ এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রদর্শনের মাধ্যমে ইউটিউবার আসলে হারাম কাজে উৎসাহিত করছে বা সহযোগিতা করছে বলে বিবেচিত হয়। ফলে এ থেকে উপার্জিত আয়কে হারাম বলা হয়।
ইউটিউবের ইনকাম হালাল করার উপায়
কিছু পদক্ষেপ নিলে ইউটিউব থেকে সহজেই হালাল আয় করা যায়।
- বিজ্ঞাপন ফিল্টার করুন:
ইউটিউবের বিজ্ঞাপন ফিল্টার ব্যবহার করে হারাম কনটেন্টযুক্ত বিজ্ঞাপন বন্ধ করার চেষ্টা করুন। - হালাল কনটেন্ট তৈরি করুন:
নিজের ভিডিওতে কোন হারাম বিষয় না থাকে, সে দিকে খেয়াল রাখুন। - স্পন্সরশিপ নিন:
বিজ্ঞাপনের ওপর নির্ভর না করে হালাল পণ্য বা সেবার প্রচার করে- এমন প্রতিষ্ঠানের স্পন্সরশিপ নিতে পারেন। - কনটেন্ট ও আয় নিয়ন্ত্রণ করুন:
যদি বিজ্ঞাপন নিয়ন্ত্রণ করা না যায় এবং নিয়মিত হারাম বিজ্ঞাপন আসে, তবে মনিটাইজেশন বন্ধ করে দিতে পারেন।
