নেপালে ব্যাপক বিক্ষোভের মধ্যে সরকারি বাহিনীর বলপ্রয়োগে অন্তত ১৯ জন মারা গেছেন। আহত হয়েছেন কয়েকশ’ বিক্ষোভকারী।
এ ঘটনা নেপালের পরিস্থিতিকে ঘোলাটে করে ফেলেছে এবং দেশটির রাজনৈতিক ভবিষ্যত নিয়ে অনিশ্চয়তা বাড়ছে।
বাংলাদেশে ২০২৪ সালে যেভাবে কোটা আন্দোলন সরকার পতন ডেকে এনেছিল, নেপালের পরিস্থিতি সেদিকে যায় কিনা তা নিয়েও আলোচনা চলছে।
নেপালে আন্দোলনের সূত্রপাত হয়েছে সরকার ফেসবুক-ইউটিউবের মত বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপ বন্ধ করে দেয়ায়। প্রতিবাদে সোমবার বিক্ষোভকারীরা দেশটির সংসদ ভবনেও ঢুকে পড়ে। এসময় আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সঙ্গে ব্যাপক সংঘর্ষ হয় তাদের।
এর মধ্যে প্রাণহানির ঘটনায় বিরোধী দলগুলো সরকারের তীব্র সমালোচনা করছে। জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা মানবাধিকার লংঘনের ঘটনায় সরকারকে চাপ দিচ্ছে।
সবমিলিয়ে টালমাটাল পরিস্থিতিতে কেপি শর্মার সরকার সেনা মোতায়েন করে কারফিউ জারি করেছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, দুর্নীতি, বেকারত্বসহ নানা কারণে জনগণ সরকারের ওপর ক্ষুব্দ। গুলি করে মানুষি হত্যার ঘটনা সরকারের জনপ্রিয়তা তলানিতে নামিয়ে দিতে পারে।
সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপ বন্ধের সিদ্ধান্ত থেকে সরকার সরে না এলে তা সরকারের পতন ডেকে আনবে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন তারা।
সরকার গুজব ঠেকাতে সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপ কোম্পানিগুলোকে নেপালে নিবন্ধন করে অফিস খুলে ব্যবসা করতে বলেছিল। তাতে কোম্পানিগুলো সাড়া না দেওয়ায় অ্যাপগুলো বন্ধ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় নেপাল।
এর প্রতিবাদে জেন-জি বিক্ষোভকারীরা বলছেন, সরকার তার সমালোচনা ঠেকাতেই এসব অ্যাপ বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অ্যাপ বন্ধ থাকলে তারা অর্থনৈতিক ও ব্যবসায়িক দিক দিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন- এমন শংকা শিক্ষার্থীদের।
