বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার ব্যস্ত সড়কে একটি ‘ডাকাতির ঘটনা’ ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি করেছে।
পুলিশ বলছে, একটি চক্র রাস্তা আটকিয়ে একজন ব্যবসায়ীর ৫ লাখ সৌদি রিয়াল নিয়ে গেছে।
সৌদি ১ রিয়াল বাংলাদেশি সাড়ে ৩২ টাকার সমান। সে হিসেবে এই ব্যবসায়ী প্রায় ১ কোটি ৬৩ লাখ টাকার সমান রিয়াল হারিয়েছেন।
মঙ্গলবার সন্ধ্যার এই ঘটনা বুধবার ঢাকার গণমাধ্যমে আসে।
এরপরই বিষয়টি ঘিরে আলোচনা চলছে। অনেকে প্রশ্ন তুলছেন- ঢাকার একটি প্রধান সড়কে অস্ত্র ঠেকিয়ে কিভাবে ডাকাতির ঘটনা ঘটলো?
ঘটনাটি ঘটেছে ঢাকার তেজগাঁওয়ের সাতরাস্তা মোড় এলাকায়।
বাংলাদেশের রাজধানী শহরটির যোগাযোগ ব্যবস্থা মূলত উত্তর-দক্ষিণমুখী সড়কের ওপর নির্ভরশীল।
তেজগাঁওয়ের এই রাস্তাটিকে ঢাকার ২-৩টি গুরুত্বপূর্ণ সড়কের একটি হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
সকাল থেকে রাত অন্তত ১০ টা পর্যন্ত সড়কটি ব্যস্ত থাকে। মাঝে মাঝেই যানজট তৈরি হয়।
যা বলছেন সাধারণ মানুষ
বুধবার সন্ধ্যায় সড়কটি ঘুরে দেখা যায়, যানজট ঠেলেই যাত্রীদের যাতায়াত করতে হচ্ছে।
এই সড়কের একজন ভ্রাম্যমাণ বিক্রেতা বাবুল মিয়া বলছেন, সন্ধ্যায় এখানে ডাকাতি হওয়া ‘অবিশ্বাস্য’ ঘটনা।
“সারাক্ষণ মানুষ চলছে, গাড়ি যাচ্ছে; এখানে অস্ত্র ঠেকিয়ে কিভাবে ডাকাতি করবে?”
পথচারি তানজীব হাসান অবশ্য ডাকাতির খবর শুনে নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত।
তার ভাষ্য, বাংলাদেশে যেসব ঘটনা ঘটছে তাতে নিশ্চিন্তে চলাচল করা কঠিন।
“এখন আর কিছু অবিশ্বাস্য মনে হয় না। এই রাস্তায়ও ডাকাতি হতে পারে। নিরাপত্তা বলতে তো আর কিছু নেই।”
পুলিশ যা বলছে
পুলিশ এই ঘটনায় ৬ জনকে আটক করেছে।
তারা ডাকাতির ঘটনাকে ‘পরিকল্পিত’ নাটক বলছে।
তেজগাঁও বিভাগের একজন পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বৈদেশিক মুদ্রার ঠাণ্ডু মিয়ার টাকাটি বহন করছিলেন তার একজন কর্মচারী।
যারা ৩টি মোটরসাইকেলে করে টাকা ভর্তি ব্যাগটি ছিনিয়ে নেন, তারা ঐ কর্মচারীর পরিচিত- বলছে পুলিশ।
এই কর্মচারীর স্বীকারোক্তির পর অভিযান চালিয়ে ৬ জনকে আটকের পাশাপাশি অর্ধেক টাকা উদ্ধারের কথা জানিয়েছে পুলিশ।