দেশে ই-সিগারেট উৎপাদনের অনুমতি না দেওয়ার নির্দেশনাকে ‘যুগান্তকারী ও সময়োপযোগী পদক্ষেপ’ বলেছে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ।
শনিবার এক বিবৃতিতে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের সভাপতি অধ্যাপক খন্দকার আব্দুল আউয়াল রিজভী বলেছেন, “সরকারের এই সিদ্ধান্ত জনস্বাস্থ্য রক্ষায় একটি ঐতিহাসিক মাইলফলক।
“ই-সিগারেট তরুণ সমাজকে নিকোটিন আসক্তির দিকে ঠেলে দিচ্ছে এবং এটি কোনোভাবেই নিরাপদ বিকল্প নয়। নিকোটিন কিশোরদের মস্তিষ্কের বিকাশে বাধা দেয় এবং দীর্ঘমেয়াদে শারীরিক-মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে। সরকার কেবল এটির উৎপাদন বন্ধ করেনি, বরং ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে রক্ষা করেছে। এটি জাতির জন্য একটি দূরদর্শী ও সাহসী পদক্ষেপ।”
দীর্ঘদিন ধরে তামাকবিরোধী সংগঠনগুলো দেশে ই-সিগারেটের আমদানি, উৎপাদন ও বিপণন নিষিদ্ধের দাবি জানিয়ে আসছিল।
আগে আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হলেও উৎপাদনের সুযোগ খোলা ছিল। নতুন এই নির্দেশনার মাধ্যমে দেশে ই-সিগারেট উৎপাদনের পথও বন্ধ হলো।
এ বিষয়ে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের রোগতত্ত্ব ও গবেষণা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক সোহেল রেজা চৌধুরী বলেন, “ই-সিগারেট স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এটি ফুসফুস ও হৃদ্যন্ত্রের স্থায়ী ক্ষতি করে এবং ব্যবহারকারীদের মধ্যে আসক্তি তৈরি করে।
“ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, হংকংসহ বিশ্বের ৪২টি দেশ ই-সিগারেট সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করেছে এবং আরও ৫৬টি দেশ এর বিক্রয় ও বিপণনে কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করেছে।”
দেশে বর্তমানে ৩৫.৩ শতাংশ মানুষ কোনো না কোনোভাবে তামাক ব্যবহার করে এবং প্রতি বছর তামাকজনিত রোগে প্রাণ হারায় ১ লাখ ৬১ হাজারেরও বেশি মানুষ।
ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ সরকারের নির্দেশনাকে দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে।
একই সঙ্গে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সংশোধিত তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন দ্রুত উপদেষ্টা পরিষদে পাশেরও দাবি জানিয়েছে হার্ট ফাউন্ডেশন।