‘গাজার স্থায়ী নিয়ন্ত্রনের পাশাপাশি পশ্চিম তীরে ইহুদি সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের লক্ষ্যে কাজ করছে ইসরায়েল’ জাতিসংঘের একটি তদন্ত প্রতিবেদনে এমন চিত্র উঠে এসেছে।
জাতিসংঘের তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি সরকার গাজার উপর স্থায়ী নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা এবং অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইহুদি সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিশ্চিত করার চেষ্টা করছে।
মঙ্গলবার জাতিসংঘের প্রতিবেদনে গাজার করিডোর এবং বাফার জোনে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের ব্যাপক, পদ্ধতিগত বেসামরিক অবকাঠামো ধ্বংসের বিবরণ দেওয়া হয়েছে।ইসরায়েল এই বছরের জুলাইয়ের মধ্যে গাজা উপত্যকার ৭৫% নিয়ন্ত্রণ সম্প্রসারণ করেছে।
জাতিসংঘের অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড তদন্ত কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “ইসরায়েলি বাহিনী সামরিক করিডোর তৈরি, সীমান্ত বাফার জোন সম্প্রসারণ এবং নিরাপত্তা অঞ্চল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ইচ্ছাকৃতভাবে গাজার ভূগোল পরিবর্তন করেছে।
কমিশন আরও দেখেছে যে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে, ইসরায়েল ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক স্থানান্তর, ইহুদি বসতি সম্প্রসারণ এবং সমগ্র পশ্চিম তীরকে সংযুক্ত করার পরিকল্পনা করছে।
বসতি স্থাপনকারীদের ক্রমবর্ধমান সহিংস আক্রমণের ফলে পশ্চিম তীরের সম্প্রদায়গুলিকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করা হয়েছে এবং পরবর্তীতে ইহুদিকরণ করা হয়েছে,” প্রতিবেদনে বলেও দাবি করা হয়েছে ।
তবে জাতিসংঘের প্রতিবেদনটি খারিজ করে দিয়ে ইসরায়েল দাবি করেছে এটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। মধ্যেপ্রাচ্যের ইহুদি সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশটির দাবি, তাদের যুদ্ধ গাজার জনগণের বিরুদ্ধে নয় বরং হামাসের বিরুদ্ধে।
