অনলাইনে বিমানের টিকিট কাটার প্ল্যাটফর্ম ফ্লাইট এক্সপার্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গ্রাহকদের মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে সপরিবারে দেশ ছেড়েছেন বলে অভিযোগ করেছে ট্রাভেল এজেন্সিগুলো।
ক্ষতিপূরণের দাবিতে শতাধিক ভুক্তভোগী শনিবার ফ্লাইট এক্সপার্টের ঢাকা অফিসে ভিড় করে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
সাশ্রয়ী মূল্যে বিমান টিকিট বুক করার সহজ সুবিধার কারণে ফ্লাইট এক্সপার্ট গ্রাহকদের কাছে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করে।
শনিবার সকাল থেকেই ফ্লাইট এক্সপার্টের ওয়েবসাইট ও টেলিফোন নম্বর বন্ধ হয়ে যায়।
ঢাকার একটি ট্রাভেল এজেন্সির কর্মকর্তা আরাফাত রহমান দাবি করেছেন, এজেন্সিগুলো ফ্লাইট এক্সপার্টে শত শত কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে।
“আমরা আমাদের ক্ষতিপূরণ চাই। এমন ধরা খেলে আমাদের ব্যবসাই নাই হয়ে যাবে। আশা করি, সরকার তাদের ধরে দেশে আনার ব্যবস্থা করবে।”
এদিকে ফ্লাইট এক্সপার্টে কাজ করা ১১৬ জন কর্মকর্তা-কর্মচারি চাকরি হারানোর শঙ্কায় পড়েছেন।
ফ্লাইট এক্সপার্টের কর্মকর্তা সাকিব হাসান জানান, শুক্রবার রাতেই তাদের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন।
“গ্রাহকরা আমাদের কাছে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করছে। কিন্তু আমরা নিজেরাও তো চাকরি হারিয়ে ফেললাম। মালিক চলে গেছে মানে, আমরা বেকার হয়ে পড়েছি।”