জরুরি সংবাদ সম্মেলনে আসছেন জাপার অব্যাহতিপ্রাপ্ত নেতারা

জাতীয় পার্টি থেকে অব্যাহতি পাওয়া নেতারা জরুরি সংবাদ সম্মেলনে আসছেন।

মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় গুলশানে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলবেন তারা।

সোমবার রাতে সংবাদ সম্মেলনের তথ্য জানিয়ে গণমাধ্যমে চিঠি পাঠিয়েছেন মুজিবুল হক চুন্নু।

জাতীয় পার্টিতে গত কয়েকদিন ধরেই চেয়ারম্যানের কর্তৃত্ব নিয়ে অস্থিরতা চলছিল।

দলের একজন জ্যেষ্ঠ নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, চুন্নুসহ দলের একটি অংশ জি এম কাদেরের ক্ষমতা কমিয়ে পার্টিতে ‘ভারসাম্যের সংস্কার’ আনার চেষ্টা করছিলেন।

এর জের ধরে প্রত্যাশিতভাবেই সোমবার দলের নেতৃত্বে বড় রদবদল আনেন চেয়ারম্যান জি এম কাদের।

দল থেকে জ্যেষ্ঠ নেতা রুহুল আমিন হাওলাদার, আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও মুজিবুল হক চুন্নুকে সরিয়ে দেন তিনি।

চুন্নুকে সরিয়ে মহাসচিব করা হয় প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারীকে।

তবে সোমবার রাতে পাঠানো সংবাদ সম্মেলনের চিঠিতে চুন্নু নিজেকে দলের মহাসচিব হিসেবেই উল্লেখ করেছেন।

এই চিঠিও পাঠানো হয়েছে দলীয় প্যাডে।

চিঠিতে চুন্নু জানিয়েছেন, জাতীয় পার্টির চলমান পরিস্থিতি ও আগামী দিনের বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তুলতে করণীয় বিষয়ে এই সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়েছে।

এতে সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, কো-চেয়ারম্যান রুহুল আমিন হাওলাদারসহ শীর্ষ নেতারা বক্তব্য রাখবেন, জানান চুন্নু।

আবার ভাঙছে জাপা?

প্রতিষ্ঠার পর থেকেই ভাঙা-গড়ার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে জাতীয় পার্টি। জাতীয় পার্টি থেকে বেরিয়ে নতুন দলও গড়েন কয়েকজন নেতা।

প্রতিষ্ঠাতা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মৃত্যুর পর দলটির কর্তৃত্ব নিয়ে শুরু হয় দেবর-ভাবীর টানাপোড়েন।

একপর্যায়ে রওশন এরশাদের নেতৃত্বে জাপার কয়েকজন নেতা আলাদা হয়ে যান। তবে মূল দলের কর্তৃত্ব থাকে জি এম কাদেরের হাতে।

এবার তার কর্তৃত্বই বড়সড় প্রশ্নের মুখে পড়েছে।

জাপার অন্দরের খবর রাখেন এমন একজন নেতা জানাচ্ছেন, যেসব ‘ডাকসাইটে’ নেতা রওশন এরশাদের বিরোধিতার সময় জি এম কাদেরের নেতৃত্বকে বাঁচিয়ে দিয়েছিলেন, তারাই এখন তার বিরুদ্ধে।

অপেক্ষাকৃত পিছনের সারির কয়েকজন নেতা চেয়ারম্যানের সঙ্গে আছেন, বলছেন তিনি।

বর্তমান প্রেক্ষাপটে যখন রাজনৈতিক দলগুলোকে চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে, তখন এ ঘটনা জাপাকে আবার হাস্যকর অবস্থায় নিয়ে যাবে- এমন শঙ্কা রয়েছে এই নেতার।

“এমনিতে পার্টির জনপ্রিয়তা প্রায় শেষের দিকে। যা-ও কয়েকজন চেনামুখ আছেন, তারাও পরিবেশ নোংরা করছেন।”

তার আশংকা- দলের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার লড়াইয়ে দুইপক্ষের নেতারা  মূলত আবার পার্টিকেই ভাঙতে যাচ্ছেন।

Comments are closed.