বাংলা ইনসাইটে প্রতিবেদন প্রকাশের পর ‘সরছে’ কক্সবাজার সৈকতের দোকান

মুহাম্মদ ফেরদাউস, কক্সবাজার

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের বালিয়াড়ি দখল করে বসানো দোকান উচ্ছেদের উদ্যােগ নিয়েছে সরকার।

এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে মঙ্গলবার পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় থেকে ভূমি মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

গত ২০ সেপ্টেম্বর “দোকানে ঢাকছে কক্সবাজার সৈকতের বালিয়াড়ি, প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তায় ক্ষোভ” শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ করে বাবা ইনসাইট টোয়েন্টিফোর ডটকম।

এর ৩ দিন পর বালিয়াড়ি উদ্ধারে প্রশাসনের তৎপরতা সামনে এলো।

পরিবেশ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সৈকতের জীববৈচিত্র্য ও প্রাকৃতিক পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি সাধন করে আইন ও বিধি-বর্হিভূতভাবে এসব দোকানের লাইসেন্স দেয়া হয়েছে।

“বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ এবং প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা (ECA) ব্যবস্থাপনা বিধিমালা, ২০১৬ অনুযায়ী ইসিএ এলাকায় স্থায়ী বা অস্থায়ীভাবে পরিবেশের জন্য ক্ষতিকারক কোনো স্থাপনা স্থাপন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।”

পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমোদন ছাড়া ভবিষ্যতে এ ধরনের কোনো কার্যক্রম না করার জন্যও সংশ্লিষ্টদের সতর্ক করেছে মন্ত্রণালয়।

সরকার ১৯৯৯ সালের ১৯ এপ্রিল কক্সবাজার-টেকনাফ সমুদ্র সৈকতকে প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা ঘোষণা করে। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে সৈকত এলাকায় স্থাপনা নির্মাণে আদালতের নিষেধাজ্ঞা এসেছে।

এসবের মধ্যেও সমুদ্র সৈকত এলাকায় প্রভাবশালীদের প্রশ্রয়ে দখলদারিত্ব চলছে, সবশেষ তৎপরতায় এই চক্র সৈকতের বালিয়াড়িতে রাতারাতি দোকান বসিয়ে দেয়।