২০২৫ সালে ৩২ হাজারের বেশি মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছে শতাধিক। রাজধানীর হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে রোগীর চাপ, সেই সাথে ঢাকার বাইরে থেকেও হাজারো মানুষ ছুটে আসছেন চিকিৎসার জন্য।
চিকিৎসকরা বলছেন গত দুই বছরে ডেঙ্গুর উপসর্গেও এসেছে বেশ পরিবর্তন। জ্বরের পাশাপাশি বমি, পেট ব্যথা আর ডায়রিয়ার মতো সমস্যাও দেখা দিচ্ছে। জ্বরের সময় ব্যথার ওষুধ বা অ্যান্টিবায়োটিক খেলে বাড়তে পারে রোগীর জটিলতা বলছেন চিকিৎসকরা ।
নগরবাসীর অসচেতনতা ও দায়িত্বহীনতা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করছে বলে মনে করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ও কীটতত্ত্ববিদ ড. কবিরুল বাশার। তার মতে, এডিস মশা ও কিউলেক্স মশা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা আলাদা করাসহ মশক মশক নিয়ন্ত্রণের কাজে জড়িতদের দরকার উপযুক্ত প্রশিক্ষণের।
আইইডিসিআরের জরিপে উঠে এসেছে , রাজধানীর প্রায় ১৪ দশমিক ৭১ শতাংশ বাড়িতেই এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেছে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব প্রজনন আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে। সরকার ও নাগরিকের সমন্বিত উদ্যোগ ছাড়া এই প্রাণঘাতী সংকট থেকে উত্তরণ সম্ভব নয় বলে বলে জানান চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞরা।
