ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন নিয়ে ১১টি অভিযোগ তুলেছে ছাত্রদল।
নির্বাচনে ছাত্রদলের প্যানেলের ভরাডুবি হয়েছে, অন্যদিকে ছাত্রশিবিরের প্যানেল বড় জয় পেয়েছে।
ডাকসু নির্বাচনের দিন থেকেই অনিয়মের নানা অভিযোগ তুলে আসছিল ছাত্রদল।
সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির ভিপি প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান প্যানেলের পক্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে বেশকিছু অভিযোগ তুলে ধরেন।
ছাত্রদলের ১১ অভিযোগ
১. নির্দিষ্ট প্যানেলের পক্ষে ভোট দেয়া ব্যালট পেপার সরবরাহ।
২. ব্যালট পেপারে কোন ক্রমিক নম্বর না রাখা এবং মোট ব্যালটের সংখ্যা গোপন রাখা।
৩. অনিরাপদ ছাপাখানা থেকে নকল ব্যালট ফাঁসের অভিযোগ।
৪. ভোট গণনা মেশিন ও সফটওয়্যার যাচাইয়ে প্রার্থী বা ভোটারদের জানানো হয়নি।
৫. ভোটের আগের রাতে পোলিং এজেন্ট তালিকা প্রকাশ করা হয়, যেখানে প্রস্তাবিত অনেক এজেন্টকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
৬. সময়মতো পোলিং এজেন্টদের পরিচয়পত্র দেওয়া হয়নি, ফলে অনেকেই ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারেননি।
৭. ঘোষণায় ৮টি কেন্দ্র বলা হলেও বাস্তবে ১৮টি কেন্দ্রে ভোট নেওয়া হয়েছে, এতে এজেন্ট নিয়োগে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়।
৮. পোলিং অফিসার নিয়োগ প্রক্রিয়া ছিল অস্পষ্ট, তারা আচরণবিধি সম্পর্কে অজ্ঞ থেকে ভুল তথ্য দিয়েছেন।
৯. নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা বিএনসিসি, রোভার ও গার্লস গাইড পক্ষপাতমূলক আচরণ করেছে এবং বহিরাগতদের প্রবেশের সুযোগ দিয়েছে।
১০. ভোট গণনার সময় পোলিং এজেন্টদের কার্যত নিষ্ক্রিয় রাখা হয়, অনেকেই রেজাল্ট শিটে স্বাক্ষর না করেই বের হয়ে গেছেন।
১১. ব্যালট বাক্সে স্বচ্ছতা ছিল না, অনেক ভোটারকে মার্কার না দিয়ে বলপেন দিয়ে ভোট দিতে বাধ্য করা হয়েছে, ফলে অনেক ভোট বাতিল হয়েছে।
ছাত্রদলের অভিযোগ, এসব বিষয়ে প্রমাসনকে জানালেও কোন সাড়া পাওয়া যায়নি।
সংগঠনটি নির্বাচন বাতিল করে পুনরায় ডাকসু নির্বাচনের ভোটগ্রহণের দাবি করছে।
