৫ আগস্টের পর বাংলাদেশে নিহতের সংখ্যা শুনে আঁতকে উঠতে হয় বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর, যিনি দেশটিতে চরমোনাই পীর হিসেবে পরিচিত।
মঙ্গলবার সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম এক বিবৃতিতে বলেছেন, “৫ আগষ্টের পরে রাজনৈতিক হানাহানিতে নিহত-আহত মানুষের সংখ্যা শুনে আঁতকে উঠতে হয়।
“চাঁদাবাজী কোন অর্থেই কমে নাই। সন্ত্রাসও কমে নাই। বরং রাজনৈতিক পরিচয়ে ধর্ষণের মতো ঘটনা বেড়েছে।”
চরমোনাই পীর বলেন, “এই ধরণের অপরাধে জড়িতদের একটা বড় অংশ বিএনপির রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। বিএনপি কর্তৃক তাদের বহিস্কারের মাধ্যমে এটা প্রমানিতও বটে।”
বিবৃতিতে বলা হয়, “বিএনপি নেতৃবৃন্দকে বলবো, কর্মীদের অপরাধের দায়ভার দল হিসেবে আপনাদের বহন করতেই হবে। চাঁদাবাজরা বিএনপির সাথে সম্পৃক্ততা দেখিয়েই জনতার কাছ থেকে চাঁদা দাবী করে।”
গত ১০ মাসের আইন-শৃঙ্খলা পরিসংখ্যানকে ‘ভয়াবহ’ উল্লেখ করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর বলেন, “সরকার কেন আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না তা জাতিকে ব্যাখ্যা করতে হবে।
“কোন অদৃশ্য শক্তি যদি সমস্যা তৈরি করে তাহলে তা মোকাবিলা করতে হবে। কিন্তু আমাদের গৌরবান্বিত সেনাবাহিনী ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার নিয়ে মোতায়েন থাকা অবস্থায় রাজনীতির এই পরিবেশ মেনে নেয়া যায় না।”
গেল বুধবারে ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে ব্যবসায়ী সোহাগকে হত্যার ঘটনায় রাজনৈতিক দলগুলো বিএনপির সমালোচনা করে আসছে।
এর প্রতিক্রিয়ায় বিএনপির নেতাকর্মীদেরও অন্যান্য রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে বক্তব্য ও স্লোগান দিতে দেখা গেছে।
বিএনপির বিষয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমীরের বক্তব্য খন্ডিত আকারে ছড়িয়ে পড়েছে বলেও বিবৃতিতে দাবি করেছেন চরমোনাই পীর।
“সেই খন্ডিত বক্তব্যকে কেন্দ্র করে দেশের ঐতিহাসিক সুফি ও সংস্কার ধারা চরমোনাইকে কেন্দ্র করে রাজপথে নোংরা স্লোগান দেয়া হয়েছে। চরমোনাই এর মতো একটি আধ্যাত্মিক ধারাকে শায়েস্তা করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বিএনপির মঞ্চ থেকে।”