সুপার ওভারের রোমাঞ্চ ছড়িয়ে জিতল ওয়েস্ট ইন্ডিজ

বোলিংয়ে অল স্পিন আক্রমণের পর ভালো ব্যাটিং করেও দ্বিতীয় ম্যাচ জিততে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শাই হোপ ও জাস্টিন গ্রিভসের শেষ দিকের জুটিতে ১ উইকেট হাতে রেখে ম্যাচ ড্র করেছিল সফরকারীরা। পরে সুপার ওভারে রোমাঞ্চ ছড়িয়ে জিতেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এ জয়ে সিরিজে ১-১ সমতা আনলো শাই হোপের দল।

ক্যারিবীয়দের অল-স্পিন আক্রমণে চাপের পর শেষদিকে রিশাদ হোসেনের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ৭ উইকেট হারিয়ে ২১৩ রান করতে পেরেছিল মেহেদী হাসান মিরাজের দল। জবাব দিতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে ২১৩ রান করে ম্যাচ ড্র করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। পরে সুপার ওভারে জিতে ১-১ সমতায় আসে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

সুপার ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজ আগে ব্যাট করতে নেমে ১ উইকেট হারিয়ে ১০ রান তোলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বাংলাদেশ ব্যাটিংয়ে নেমে ১ উইকেট হারিয়ে ৯ রান তুলতে পারে। সফরে এসে ১ রানে প্রথম জয় তোলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে এটি প্রথম সুপার ওভার।

টসে জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে বিপর্যয়ে পড়েছিল বাংলাদেশ। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৫ রান করেছেন সৌম্য সরকার। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৯ রানে অপরাজিত থাকেন রিশাদ হোসেন। এছাড়া মেহেদী হাসান মিরাজ করেন ৩২ রান। গুডাকেশ মোটি নিয়েছেন ৩ উইকেট। ২টি করে উইকেট নিয়েছেন আকিল হোসেইন ও অ্যালিক অ্যাথানজে।

জবাব দিতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ২১৩ রান তোলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সর্বোচ্চ ৫৩ রান করেন শাই হোপ। অ্যালিক অ্যাথানজে করেন ২৮ রান। এছাড়া ২৬ রান করেন জাস্টিন গ্রিভস। রিশাদ হোসেন নিয়েছেন ৩ উইকেট। ২টি করে উইকেট নিয়েছেন নাসুম আহমেদ ও তানভীর ইসলাম।

ওয়ানডেতে বাংলাদেশি ব্যাটারদের মধ্যে এক ইনিংসে নূন্যতম ৩০ রান করা সর্বোচ্চ স্ট্রাইকরেটের রেকর্ড এখন রিশাদ হোসেনের। ২৭৮.৫৭ স্ট্রাইকরেটে ১৪ বলে ৩৯ রান করেছেন টাইগার স্পিনার। আগের রেকর্ডটি ছিল মাশরাফী বিন মোর্ত্তজার। ২০০৬ সালে কেনিয়ার বিপক্ষে ২৭৫ স্ট্রাইকরেটে ১৬ বলে ৪৪ রান করেছিলেন তিনি।

এক ইনিংসে সবচেয়ে বেশি স্পিনারদের বোলিংয়ের রেকর্ডের পর এবার আরও একটি রেকর্ড হল বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ দ্বিতীয় ওয়ানডেতে। এক ম্যাচে স্পিনারদের সবচেয়ে বেশি বোলিংয়ের রেকর্ড হল এই ম্যাচে। ওয়ানডেতে এক ম্যাচে স্পিনাররা সর্বোচ্চ ৭৮.২ ওভার বোলিং করেছেন। ২০১৯ সালে দেরাদুনে আফগানিস্তান-আয়ারল্যান্ড ম্যাচে। ৩১.৩ ওভারে ওই ম্যাচের রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। বাংলাদেশ এর মধ্যে স্পিনারদের দিয়ে করিয়েছে ২৮.৩ ওভার।